শম্বুক মেঘের মত বয়ে চলেছে কাপালিক সময়
নিরবে,নিভৃতে
মৌনতার আগাম কুয়াশায় ঘেরা বোধের সূতিকাগার
এই হিরণ্ময় কাল বেলায়
জেনেও জানি না অনেক পাথর কুঁচির অন্তরা
কেউ একজন দিয়েছিল মন্তর, সে এক তৃষিত কাক
আমি শোনেও শোনিনি
কেবল বড় রাস্তার মোড়ের শতবর্ষী বটের মত
সদ্য ভূমিষ্ঠ অবোধ শিশুর মত
নির্বাক কাঠের পুতুলের মত
আধ বোজা চোখে তাকিয়ে দেখেছি কত শত
একহারা
নক্ষত্রের উত্থান
কিছু বলতে পারিনি বলে ধিক্কার দিয়েছিল পথের ধুলো
আমি কিছু মনে করিনি
শুধু
মনে মনে ভেবেছি ধূলিকণা হতেম যদি!  
তবে
হয়ত জন্ম হতো না এই পদ্মা, মেঘনা, যমুনার
আর এখন
এর চেয়েও ভয়ংকর সর্বগ্রাসী নদী বয়ে বেড়ায়  
এই কোমল পাথর হৃদয়
যেখানে অহর্নিশি চলে ক্ষরণ ক্ষরণ খেলা
ফিল্টারবিহীন
কিম্ভূতকিমাকার
জাহেলিয়া
তবু
এই দিনভর এই রাতভর এই ভাঙা ভাঙা অন্তর
টুকরো কাঁচের ভিতর
তাকিয়ে থাকে আর্কটিকের বরফ
যদি
উষ্ণ বাতাস কোথাও থেকে চলে আসে তাঁর ছিঁড়ে
আর
ভিজিয়ে দেয় কঠিন মন্তর!!