সেদিন
রুদ্ধশ্বাসে ছুটে গিয়েছিল কালবোশেখী আবেগ  
ছুঁইয়ে ছুঁইয়ে পড়ছিল বাংলা বইয়ের সবুজ পাতায়
মজা পুকুরটির সুপ্রতিবেশি
বয়সী হিজলের শীতল ছায়ায়
আরশোলা পাঠকক্ষের  
এক মূর্খ মাতাল জানলায়, সময় নেই, অসময় নেই
ভাঙা বেড়ার এক চিমটি ফাঁক গলিয়ে
মনের উঠোনে হানা দিত এক ঘাস ফড়িং
বাঁধ ভাঙা জলের মত
ফিনকি দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া লোহিতকণিকার মত
অতঃপর
খুব বেশি দিন নয়
সমবেগে ফিরেও এসেছিল ছাই ভস্ম
সে কথা রাখেনি
হ-য-ব-র-ল জীবনের ক্যানভাস  
ধূলি ধূসর একরত্তি আকাশ
নিজের কাছে নিজেই অচেনা
এই রৌদ্র করোটিকায়


আজ এই আধেক বেলায় হাত থেকে পড়ে যায়
অপয়া মাটির চিমনি
ঝেড়ে কাশি আসে
বাহারি স্মৃতিগুলো ভাসে বাতাসে
চেতনে অবচেতনে বাড়িয়ে দেই আধা কুঁচকানো কর  
সে আসে না
শুকনো পাতা বাজে মর্মর
সে আসে না
খালি পড়ে থাকে এই বুকের বালুচর!!