কেন অমন করে রেখেছ মুখ ফিরায়ে
অভিমানী মা আমার
তোমার দু’চোখের কোণায় পতনোন্মুখ জল দেখে  
আমার বুকের পাঁজর কাঁচের টুকরোর মত ভেঙে পড়ছে
আর
কারো লালসার আগুন ফুলে ফেঁপে আকাশ ছুঁয়েছে
একটু একটু করে গড়ে তুলছে রাজমহল  
পদাশ্রিত নির্দেশক
রাজহস্তীর লোহার খাম্বা পায়ের নিচে আজন্ম পিষ্ট
লাল পিঁপড়ে গুলো জলাতঙ্ক রোগীর মত ঘো ঘো করছে  
কোথাও এক বিন্দু স্বস্তি জল নেই
নিরাক পড়া
বড় দুর্মূল্যের মিনা বাজার  
তাহলে কি সর্বাঙ্গ বিফলে যাবে অতি উচ্চ মূল্যমানে  
সদ্য কেনা এই বদ্বীপ?
খসে খসে পড়বে উড়ন্ত পাখির দুরন্ত পালক  
এই কি আমি হতে দিতে পারি মা
তুমি ভাবছ বুঝি
আমি চেয়ে চেয়ে দেখব নির্বাক পাথর চোখে
নপুংসক  
দেখো মা, তোমার এই ধারনাকে মিথ্যে প্রমাণ করে
আবার ফিরে আসব আমি
এক সাগর রক্ত নিয়ে
এই বুকের গভীরে প্রোথিত হিমগিরি প্রত্যয় নিয়ে
আর
এই বিষবৃক্ষের সমূল উতপাটন করে
তবেই আমি তোমার আঁচলে মুখ লুকিয়ে বলব
আর কেঁদো না মা
আর ফেলো না মুক্তো জল
তোমার খোকা ফিরে এসেছে, ফিরে এসেছে
এবার সারা বিশ্ব অবাক তাকিয়ে দেখবে মা
তোমার দু’বাহুর ভেতর লুকিয়ে রাখা অমিত বল!!