জানি না কত মাত্রার সুখ কিনতে পেরেছ, কত মাত্রা --
ঝিনুকের ডানায় জমিয়েছ কত উষ্ণতা, মুক্তো দানোর ঝিক ঝিক
এক গামলা
দুই গামলা
তিন গামলা--
ভেবে দেখো, এক সময় আমিও ছিলাম সুখের আড়তদার
কখনও সখনো চটকদার ফেরিওয়ালা
কতো একাদশী, দ্বাদশী, চতুর্দশী, ষোড়শী চাঁদ বালা
সুখ কিনতে এসেছিল,
বটতলা
হাটতলা
রেসকোর্স, বোটানিক্যাল
বড় বেশি মূল্য মানে আমার কমদামী অসীম সেট,
এত কিছুর পরেও আমি বিক্রি করিনি তমাল তলা
বিশেষণের উপর বিশেষণ দিয়ে
অতি সযত্নে পেরিয়ে এসেছি ঝড় জলের ঝাঁপটা
অতঃপর
এক প্রকার বিনা মূল্যে তোমার কাছে বিকিয়ে দিলাম
আমার সোনার তরী,
মনে পড়ে নিরুদ্দেশ যাত্রা? তখন শীতলা দেবীর মাতম
তোমার প্রতি ইঞ্চি জমিন জুড়ে,  
সেই ভবঘুরে সময়ে আমি শুধু একা
তোমার অশান্ত নীল নয়নের জলে ডুবে মঞ্চস্থ করতে চেয়েছিলাম
এক প্রাগৈতিহাসিক ড্রামা
এক সময় মরা বৃক্ষে ফুল দেখে ভেবেছিলাম জিতে গেছি
আমি,  
আর
নিশাচর পাখির মত আমার রাত জাগা দেখে
তোমার দু’চোখের বিন্দু বিন্দু ভালোবাসার ফোঁটা সম্বল করে
আজও আমি রাতের আঁধারের দিকে তাকিয়ে থাকি একলা
আজও বুঝতে পারি না
ভুল ঠিকানা লেখা চিঠি কেন প্রাপকের হাতে পৌঁছায় না!!