কী অমন হেতুপদ, নিজেকে ভাবছ অতোটা উঁচু
তুমি বৃষ্টিস্নাত তালগাছ হও অথবা লতানো কিশলয়
ভেবো দেখো... একদিন  তুমিও অংকুর ছিলে ইশ  ছিলে চালহীন-চুলোহীন, মুণ্ডহীন লাওয়ারিশ!


অতঃপর উর্বর হয় কোনএক বন্ধ্যা রমণীর যোনী
স্বরবৃত্ত ছন্দে ঢাক ঢোল পিটিয়ে বসে একদিন হাটবার
সেই অস্থি, চর্মহীন লোলুপ রক্ত পিণ্ডটি
এখন দোল খায় দোলনা
প্রজ্ঞা ও সজ্ঞার মিছিলে যোগ হয় নব দ্যোতনা!


এখন তুমি রাজর্ষি, কালকেতু উদ্ধত তোমার  চলা
ঝাঁকড়া চুলে কথায় কথায় মাংসাশী কথা বলা
উলঙ্গ দেবদারুর মতোন
বলিহারি রাজঘোটকের মতোন ঠাট
পোয়াবারো সময়ের চক্রব্যুহে ব্লগাহীন নামতার পাঠ!


বুঝতে পার? কেড়ে নিয়েছ সকল ঠিকানার ঘাট
মনে রেখো...আবার জমবে মেলা
পাকবে মাটির দলা দিতে হবে উড়নচণ্ডী সময়ের হিসাব