ক্ষণে ক্ষণে ভাঙা গলায় ডেকে উঠছিল পৌষের কুকুর,
পূর্ণিমা চাঁদ মেটাতে পারেনি,  
এক হাঙর ক্ষুধা; নিবু নিবু চোখে নিরন্ন ঘৃণার প্রজ্জলিত আগুন!
আজরাইল আসে, বার বার আসে  
আবার ফিরে ফিরে যায়,  
তাঁর কঠিন হিমালয় হৃদয় যদিও গলে;  
এই মর্ত্যের, এই দু’পায়ের, মানুষের মন তবু গলে না!


এখনও মাজার গভীরে ঢুকে আছে টেঁটার প্রথম বন্ধনী,  
চর দখলের বুনো সুখের জয় টীকা;  
এখনও শোণিতের নদী বয়ে যায়, মৃত পড়ে থাকা বালুচরের গায়,  
লোমকূপ জেগে উঠে, এক একটি ভূতুড়ে সন্ধ্যায়!
কত চেয়ে থাকি, কামিনী বাতাস যদি আসে
সান্ধ্য রাগে বুলবুলি আর ফিঙেরা যদি হাসে
যদি এই রক্ত গঙ্গায়
এই দু’মুখো মেঘনায়, সাদা পায়রার ঢল নামে!


তবে ভুলে যাব আমার হিম হওয়া রক্তের ঘ্রাণ,  
ব্যাঙের আধুলি;
গেল দেড়শত বছরের দাঁত কপাটিকা!
ভুলে যাব সব বিপন্ন রাত,  পাকস্থলীর এই পরকীয়া
আর
বিশেষায়িত পোকা মাকড়ের এই ঘরকন্না!!