কী করে বলি তোমায়, মধ্যাহ্নের এই হৈমন্তী প্রহর  
একা বয়ে যায়,
কাক পক্ষীহীন পথের মত, পড়ে থাকা পথ যেন,
নৈঃশব্দের কারাগারে শূন্যতার আবছায়া বিছায়!  
অথচ
মুখ ও মুখোশের মেঘে নিজেকে আড়াল করে, বেশ তো
লিখে চলেছি কথা কবিতা;
কেউ বুঝল না
কেউ বুঝতে চাইল না,  
রাত নেই
দিবস নেই
অনবরত কেঁদে চলা, কে এই চিরবিরহিনী ঝরনা!
তেমনি  
আমিও যেন জেনে শুনে সেজেছি বলকানের কসাই!


আমিও মেতে উঠেছি কফি হাউজের সেই আড্ডায়
যদিও
আমার কানের লতি ঘেঁষে ঘাতক ফাগুন বয়ে যায়!
আমি কিছুই বলি না
কেন জানি বলতে পারি না!


কেবল
নিরুত্তাপ
লাইসেন্স বিহীন এই সব দিন-রাত্রি,  
পোয়াটেক দুধ
আর
দেয়ালে ঝুলানো তোমার দুর্বোধ্য ছবিগুলো,
আজও আমায় নিয়ে যায়, তোমার সেই সূর্য দীঘল গাঁয়!