পাঁচ কুড়ি একদিনে
যে জলে মালা গাঁথতে চেয়েছিলুম
রাত পোহাবার আগেই দেখি, সে জল ফোটেনি!
একটা আস্ত পোড়বাড়ি এক হা মুখে গিলেও তৃষ্ণা মেটেনি!


যদিও
দেখার বাকি নেই
কাশফুলের বৈধব্য
বিপত্নীক রঙধনু
আর
সাহসী
ধুমকেতুর অনায়স পতন!


তবু
আশার বাতি কোনোরকমে জ্বালিয়ে রেখেছিলুম,
কোনো গুজবেই ---কান দেইনি!
এলিয়েন এসেছিল,
এসেছিল মৃত অথবা জাগ্রত দেবতা সেও,  
আমি সব মেনে নিয়েছিলুম,  
মেনে নিয়েছিলুম, এই জলডোবা সাগর  
পথের বাঁকে হারিয়ে যাওয়া পথ
আঙুলের ভিতর আঙুলের
জলচোরা শপথ!


এতো কিছুর পরেও শুনতে পাইনি জল পতনের শব্দ  
সরল, যৌগিক কালের হিসাব
কাকতালীয় সূত্রে মিশে গেছে একসাথে!
এখানে জীবন
মিছেই খুঁজে বেড়ায় জীবনের মানে!
এখানে
জল, মাটি, আকাশ ---
একই সুতোয় গাঁথা মালা  
বৈধব্যের সাদা কাফনে মোড়া ব্রহ্মপুত্রের
এই অকালবৃদ্ধ  বালুচর!!