এই বেশ তো আছি----  
সোনামুখি আঁধারে  খেলছি জলবন্দি কানামাছি,  
মাঝে মাঝে কবিতা লিখি; দরপত্র ঝুলানো আছে,
ইতিহাসের কচি ঘাসে!
কোনোভাবেই কাউকে জানতে দেইনি, আমি কবি!
জানতে দেইনি  
কিভাবে কাটে আমার সংজ্ঞাহীন নিঃসঙ্গ রাত,  
জানতে দেইনি
মাঝে মাঝেই সদ্য নাড়ী ছেঁড়া শিশুর মতো
ডুকরে কেঁদে উঠি, আমার সাথে কেঁদে উঠে কটিদেশ,
কেঁদে উঠে লু হাওয়া,
কেঁদে উঠে মহাকালের পলেস্তরা!  


এখনও আমার চারপাশে অক্টোপাসের মতো ঘিরে আছে  
ছন্নছাড়া গৃহপালিত পরিবেশ,  
সারে সারে দাঁড়িয়ে আছে সশস্ত্র গবাক তরু!
এখনও
যত্র-তত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে দলিত বর্ণমালা,
আজরাইল স্বয়ং এসে ঘুরে বেড়ায় রান্নাঘর, ফ্রেশরুম!
মাঝে মাঝে ভাঙা বোধের ডাল গুলো গর্জে উঠতে চায়,
গর্জে উঠতে চায়
ভূমিকম্পের জ্যান্ত ফসিল;
হতে চায় বাক্যবাগীশ ফারযদক, আমি আঁতকে উঠি,
আনমনে চলে রকেট আঙ্গুল ,  
শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে চেপে ধরি টুঁটি!


এখন আমি চেতনে-অবচেতনে ঘুম কামাই করি,  
তবু লক্ষ্মীন্দর ছিদ্র পথে দেখতে পাই তন্দ্রার মোহনা
কারবালার পথে পথে সতর্ক পাহারা দেয় এজিদের সৈনিক
পদচিহ্ন লিখে রাখে পথরেখা,
আর
আমি চার আঙ্গুলে মাপতে থাকি কপালের বলিরেখা!!