সেদিন এক আড়বাঁশি দুপুর, চুপি চুপি এসে হাজির হয়েছিল
স্মৃতির মণিকোটর, মেঘবেলা নিয়ে এসেছিলো চেনা-অচেনা  
সা-রে-গা-মা-পা’র সব সুর! দখিনা বাতাসে বুঝতে পারছিলাম
ফাগুন বুঝি বয়ে যায়; কৃষ্ণচূড়ার শাখে উপচে পড়ছিল কোনো
এক কেয়া জলের ষোড়শীর সপ্তসুর,    
পাতার ভাঁজে ভাঁজে লুকোনো ছিল স্বর্ণলতার বাহু ডোর!    


কেবল বুঝতে পারছিলাম না, এই কী তবে  
বরষার ভরা মৌসুম? চাঁদের প্রেমে উতলা হওয়া তেজকটাল?
মনিকা মঞ্জুসা!
ধরণীর সকল কচিপাতা বাতাস একসাথে ঘিরে ধরে মাতাল প্রহর,
শিমুলের ডানায় নেমে আসে অপ্সরী কবিতা, মন্ত্রমুগ্ধের মতো
অপলক নয়নে এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকে কামরাঙা নাকফুল!


এই যে এতোকিছু ---- এতো কবিতা, এতো গান, এতো সুর,
চৈতি হাওয়ার বাসর রাত;
প্রতিদিনই রাঙিয়ে দিয়ে যায় কোনো না কোনো অপয়া ভোর!
কেবল আমি একলা বসে থাকি, আমার সাথে বসে থাকে
বিরান প্রহর, মাতৃহীন যমুনা------ !  
তারও দিন যায়,  আমারও দিন যায়, মাস যায়, বছর যায় ---
শুধু ফাগুন আর ফিরে আসে না!  


অন্ধকার টেবিলের এক কোণে অবহেলে পড়ে থাকে আমার বসন্ত
বাতাস, কেউ জানে না ----
কতো ফুল ফোটে বনে
কতো পায়রা উড়ে মনে
কতো ফাগুন আসে, কতো ফাগুন বাতাসে ভাসে,
সব পাখি খুঁজে পায় নীড়
কেবল কেউ কোনো দিন আমার কোনো খোঁজ রাখে না!!