নিরুদ্দেশ পথ হাঁটিতেছি আমি, পথ হাঁটিতেছে ছায়াপথ
মাঝপথে ছেঁড়া দ্বীপে নোঙর ফেলেছিলাম,
কালের কলস ভরা দেখেছি জল গেরো, বড়শি গেরো।
কে জানি খুঁজতে গিয়েছিল জীবন গেরো নামের দু’ছত্র কবিতা;
হেমন্তের সোনাঝরা রোদে, তাঁর সাথে আমিও ছিলাম!    
প্রবালের ভাঁজে ভাঁজে গরু খোঁজা খুঁজেছি,
দেখেছি সলতে পুড়তে পুড়তে  
ঠিকানা খুঁজে নিয়েছে পোড়াদাহ!
এখানেও শান্তি নেই, কোথা থেকে
দেবর্ষি নারদ এসে বললেন, ভুল পথ তোমার!
এ যে শবদাহ!
যাক বাবা, তবু বেঁচে গেলুম; বৈয়াকরণের রোষে
এখন পুড়তে থাকুক বঙ্গ, সমতট, হরিকেন, রাঢ়!  
সেই ফাঁকে আমিও কলাবতী ভেলা ভাসিয়ে দেই বঙ্গোপসাগর,
এতো জল!
তবু আকণ্ঠ তৃষ্ণায় আশি ভাগ পোড়া আকাশের ছাতি ফেটে গেল;    
আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা,
এতো যে হাঁটুভাঙা আঁধার জলের ঢেউ,
শুকতারা পকেটে অযত্নে, অবহেলায় পড়ে থাকা
নীলাভ এনভেলপ;        
এতো যে ফেনিল জল জোসনা,
ভাঙা-গড়ার তাঁবু গেরো, ডাক্তারি গেরো,
এতো যে ক্ষণপ্রভা, এতো যে ভাঙনের তাসের ঘর
তথাপি কেউ নিলো না কোন খবর!
কাঁধের উপর সাত তলা আকাশ ঝোলা বয়ে নিয়ে
আমি চলেছি একা,  
ক্লান্তিহীন পথিক প্রবর;
কেউ চেয়ে দেখলো না- রেললাইন,চিতা, কবর!
কুড়িতেই বিধবার শাদা শাড়ি পড়ে নির্ঘুম চেয়ে আছে
সাত রাস্তার মোড়!  
আমিও তেমনি,  কিছুতেই বুঝতে পারছি না---  
মৌজা, খতিয়ান, তফসিল! গরু পোড়া ভোর!!