রোজকার মতো আজও নুন আনতে পান্তা নেই---
গাদাগাদি নাড়ী ছেঁড়া উপোষ বেলা, কঙ্কাবতীর
মার মুখে কোনো রা নেই;
উঠোনের একপাশে নিজেকে ঠেলে দিয়ে উঠোন দাঁড়িয়ে আছে!  
ঠিক যেন পোড়া কয়লা!  
ঘেউ ঘেউ শব্দেরা ডেকে আনছে পোয়াতি কহর, সেদিকে
তাঁর কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই,
একবারও তাকিয়ে দেখছে না  
কাঁচা লংকার ছানাগুলো ডাগর চোখে কেমন তাকিয়ে আছে!


সেই সে তাকানো ছায়াহীন, মায়াহীন, ভাবলেশহীন
উচ্ছিষ্ট কাগজ, অজৈব প্রাণ রসায়ন!  
এখানে কোনো জীবন নেই, বেনিয়া অন্ধকার আছে;  
জন্মের যেমন হিসেব নেই
মৃত্যুরও তেমনি হিসেব নেই!  


আর কঙ্কাবতী, সেই যে বেরিয়েছে ছেঁড়া কাগজ প্রেম,  
তখনও সূর্য জাগেনি!  মন ঘুমায়নি। জেগেছিল।
দুপুর গড়িয়েছে সেই কখন, কেউ হিসেব রাখেনি;
অথচ  
এখনও অন্ধ প্রায় মেয়েটি ফিরে আসেনি!  
কে জানে? কোথাও ফুটেছে কবিতা ককটেল!
কে জানে? হাত দুটি উড়ে গেছে আন্দামান-নিকোবর!  


এখানে এমনি জীবন! কচি পাতা দূর্বাঘাস!
শত সাইক্লোনও পরাস্ত করতে পারে না, আবার
উদোম পায়ের নিচে পিষ্ট হয় সারাক্ষণ!!