পথ পথেই ঘুমিয়ে আছে। কাশবনেও সাড়া নেই।
চৈত্রের শেষাশেষি। চেয়ে দেখছে ফাগুন। নিজের কোনো প্রস্তুতি নেই।  
শীতও চলে গেছে। কারো টু শব্দটিও নেই।  
ফেয়ারওয়েল জানানো হয়নি।


কাদম্বিনী কেঁদেই চলেছে। একদিন রাজা ছিল! ভুলে গেছে।  
হেমাঙ্গিনী হাসছে।
সুতরা পাতারা ঘুমিয়ে আছে। একদিন জেগে যাবে।  
বাতাসে কানাকানি শুনছি। সে না বলে দিয়েছে।
শান্তির মা মরে গেছে। তাতে কারো কিছু আসে যায়নি।


এক গোলে হেরে গেছি। তাতে কী? মান-সম্মান তো যায়নি।
কচু পাতায় পানি জমেছে।
কেউ দেখেছে। কেউ দেখেনি।
অগ্রিম টাকা দিয়ে রেখেছিলাম।
পেঁয়াজ-রসুন দেয়নি। শুনেছি দাম নাকি বেড়ে গেছে।


বিড়ালে কিশমিশ খেয়ে ফেলেছে। কেউ দেখেনি।
গুণ্ডা-পাণ্ডা বলে চালিয়ে দিয়েছে।
উলুবনে মুক্তো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম। কেউ নেয়নি।
ছিন্নপত্রটি ভাঁজ করে রেখে দিয়েছিলাম। হাঁড়ির ভেতর। হারিয়ে গেছে।  
ইতিহাস কোনো কথা বলেনি। সব লিখে রেখেছে।