এখানে একদিন রনিয়া ছিলো। ফুটন্ত যৌবনা।
এখন রনিয়াও নেই। যৌবনও নেই। মানুষ সব খেয়ে ফেলেছে।
দইয়ার খাল বলেও কিছু একটা ছিল।
এই প্রজন্মের কেউ জানেনি।
দাদার মুখে রূপকথার গল্প শুনে। যৌবনের ইতিহাস শুনে।


উজাড় বাড়ি উজাড় ছিলো না। ঘোমটা পড়া সবুজ মেয়ে।
সেখানে ভূতের পায়ের ছাপ ছিলো।
শেয়াল ডাকা রাত ছিলো। শিউলি ফোঁটা ভোর ছিলো।
এখন কিছুই নেই। ইট আছে। পাথর আছে।


সালাম, শফিউর সবুজ ছিলো। প্রাণের মায়া করেনি।
কেউ জানে না।
এখনও রোজই এসে বসে থাকে। কৃষ্ণচূড়ার ডালে। শিমুলের ফুলে।
এখনও মায়ের আঁচলে বর্ণমালা খুঁজে।


এখন যারা পেট্রোল ছুঁড়ে, তারা সবুজ নেই। কাপুরুষ আছে।
যৌবনের উর্দির নিচে লুকিয়ে রেখেছে।
ওদের দেশ নেই। মা নেই। মানুষ নেই।  


এখন সবুজ মেয়েটা একা একা বসে কাঁদে। রোজই পত্র লেখে।
ডাকপিয়নের হাতে দেয়। কেউ পড়ে না। প্রয়োজন নেই।