পৈতৃক সূত্রে একটা প্রশংসাপত্র পেয়েছিলাম। সেটি এখন আর নেই।
ঘুণপোকা খেয়ে ফেলেছে।
একটা প্রশংসাপত্র দরকার ছিলো। কিনে নিয়েছি।
আপনিও কিনতে পারেন। কোনো সমস্যা নেই। যেখানে-সেখানে পাওয়া যায়।
একদম খাঁটি। কোনো ভেজাল নেই। ফরমালিন আছে। টেকসই আছে।
স্পাইরাল করা। জলে ভেজার ভয় নেই। রোদে পোড়ারও আশংকা নেই।
কেবল আগুন থেকে একটু সাবধানে রাখবেন। বেশ। এতোটুকুই।


ইস্কুল-কলেজে ভর্তি হবেন? প্রশংসাপত্র ছাড়া হবে না।  
চাকুরীর দরখাস্ত করবেন? সেখানেও লাগবে। না হয় বাতিল বাক্স তৈরি আছে।
বিয়ে করবেন? আপনার প্রশংসাপত্র দিবেন আশেপাশের মানুষ। তরুলতা।
ক’দিন পরে ডিজিটাল জন্তু-জানোয়ার। সবাই সক্রেটিস হওয়ার দরকার নেই।
আপনার চারিত্রিক সমস্যা আছে। ভয় পাচ্ছেন। যে কোনো দুর্বলতা আছে।
কোনো সমস্যা নেই। প্রশংসাপত্র তৈরি আছে।
অথবা নিজেই তৈরি করে নিতে পারবেন। ডিজিটাল যুগ সব পারে।


একটা গোপন কথা বলি। আমি একজন সবুজ মেয়েকে ভালোবাসি। সে বাসে না।  
রাশি রাশি প্রশংসাপত্র জমা দিয়েছি। সে গ্রহণ করেনি। ডাস্টবিনে ফেলে দিয়েছে।
আমি কিছু বলতে পারিনি। কেবল তাকিয়ে দেখেছি।
এই সব বস্তা পচা জিনিসের তাঁর কাছে কোনো মূল্য নেই।  
সে শান্তি চায়। নিরাপত্তা চায়। পারস্পরিক বিশ্বাস চায়। সমযোতা চায়।
নিশ্চিত ভালোবাসার গ্যারান্টি চায়। আমি দিতে পারি না।


আপনিই বলেন। কিভাবে দেব? গোটা দেশের বুকেই তো ব্লক আছে।
যেখানে ওপেন হার্ট সার্জারি প্রয়োজন; সেখানে প্রশংসাপত্র দিয়ে কী হবে!