একটা সূচিপত্র লিখব ভেবেছিলাম। সে অনেকদিন ধরেই। জন্মসাল।
ক্রম গুলো এখনও ঠিক করতে পারিনি। একবার সাজাই।আবার সাজাই।
কেবলই এলোমেলো হয়ে যায়।
সূর্য একবার এসেছিলো। সে সবার উপরে থাকতে চায়।
চাঁদও এসেছিলো। সেও কোনোমতেই নিচে নামবে না।


থার্মোমিটারে ১০৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা। তবু পারদ গলে না। বড় শক্ত মন।
জ্বরে কপাল পুড়ে যাচ্ছে। তবু শরীর চায়। প্রেম-টেম বুঝে না। মফিজ ভাই।
এক ফোঁটা জল নেই। তবু ব্রহ্মপুত্র বলে আমি নদ। কাণ্ড জ্ঞান নেই।
গাছে তুলে মই নিয়ে গেল। সে অবরোহী প্রেম। খিলখিলিয়ে হাসে।
সূচিপত্রটা লিখে ছিঁড়ে ফেলল। সে অমরপ্রেম। লালন বুঝে না।


মিষ্টি কুমড়োর ফুল কিনেছিলাম। বড়া হলো না। দায়সারা কবিতা হলো।
বাগান কিনেছিলাম। ফুল নেই। খাঁটি তেল আছে। মালিশ করার জন্য
মালীও আছে।
রাজার বাড়ির চাপরাশি। বড় বড় কথা বলছে। মহাকাব্য লিখবে।
ইতিহাসের পাতাটা ছিঁড়ে গেছে। সুপার গ্ল কিনতে হবে। মনে মনে সজাগ আছে।


টিচার ক্লাসে গিয়েছিল। স্টুডেন্ট নেই। রীতি বদলে গেছে। বোকারা ক্লাস করে।
পরীক্ষা না দিয়েই কে জানি পাশ করেছে। ভালো করেছে।
বিয়ে না করেই বাবা হয়েছিলো।  সূচিপত্রটা লিখে ফেলেছিলো।  বেশ করেছিলো।
সূচিপত্রটা কন্যা শিশুর ভ্রূণ ছিলো। তারপর ছিঁড়ে ফেলেছে।
বোকা মেয়েটা কেঁদেছিলো। জীবন বুঝেনি।