ইবলিশ জান্নাতে ছিলো। সুখে ছিলো। সুখে থাকলে ভুতে কিলায়। সবাই জানে।
অতঃপর সে জান্নাত থেকে বিতাড়িত হলো। তবু আদমের পিছু ছাড়লো না।  
সে কৌশল করলো। কৌশল করে আবার সে জান্নাতে প্রবেশ করলো।
হাওয়াকে বিভ্রান্ত করলো। আদম-হাওয়াও জান্নাত থেকে বিতাড়িত হলো।
ইবলিশ কৌশলী। স্রষ্টা তার চেয়েও বেশি কৌশলী। তিনিও কৌশল গ্রহণ করলেন।
তিনি আদম-হাওয়াকে ক্ষমা করে দিলেন। ইবলিশকে ক্ষমা করলেন না।


কাবিল, ভাই হাবিলকে হত্যা করেছিলো। হত্যা করেই লাশ নিয়ে বিপদে পড়েছিলো।
স্রষ্টা কাক পাঠিয়ে দিলেন। কাবিলকে কৌশল শিখিয়ে দিলেন। কাবিল জেতে গেলো।
আসলে জিতে যায়নি। তার পতন হলো। ইবলিশের মতো সেও অভিশপ্ত হলো।
মৃত্তিকাও তাকে ক্ষমা করলো না। সে তাকে গ্রাস করলো। চমৎকার দেখা গেলো।


মহারাজ অমরত্ব চেয়েছিলেন। সাধু বাবাজিকে কৌশলে হত্যা করলেন।
কিতাব কেড়ে নিলেন। সাধু আগেই বুঝতে পেরেছিলেন। প্রতি পাতায় বিষ মাখিয়ে
রেখেছিলেন। মহারাজ মারা গেলেন।
মহারাজ কৌশল করেছিলেন। সাধু বাবাজিও কৌশল করেছিলেন। দু’জনই মারা গেলেন।


এক অন্ধ অন্যকে মারার জন্য গর্ত করেছিলো। সেই গর্তে পড়ে নিজেই মারা গেলো।
এই গল্প সবাই জানে। কেউ মানে না। জানা এক কথা। আর মানা আরেক কথা।
সবাই ছলে-বলে-কৌশলে নিজের ভালো চায়। অন্যের ভালো কেউ চায় না।


একজন সারাজীবন কৌশল করেছেন। মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। ক্ষমতা টিকিয়েছেন।
আজ বিদায় বেলায় কান্নাকাটি করলেন। নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন।
কেউ বিশ্বাস করলো। আর কেউ বিশ্বাস করলো না। এটাকে নতুন কৌশল বললেন।


শুনেছি কৌশলপত্র প্রনীত হচ্ছে। খুবই ভালো খবর। এটা আমাদের সবারই প্রয়োজন।
কৌশল ভাল। অপকৌশল ভাল না।
তোমাকে পাওয়ার জন্যে আমি তো কম কৌশল করিনি। কী লাভ হলো তাতে?    
এখন আমি বুঝতে পারছি, কৌশল ভাল। অতিকৌশল ভালো না।।