সেদিন মাঘী পূর্ণিমা ছিলো। চাঁদের গা বেয়ে যৌবন উপচে পড়ছিলো।
সবাই চাঁদের দিকে মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে ছিলো। হঠাত বলা নেই। কওয়া নেই।
চাঁদ আকাশ থেকে খসে পড়লো। সবাই যার যার মতো কেটে পড়লো।
কেউ চাঁদের কাছে গেলো না। চাঁদ আকাশেই সুন্দর। মাটিতে নয়।


দুর্লভ বস্তু দূরে থাকলে যতোটা গুরুত্ব রাখে;  হাতের কাছে আসলে ততোটা না।  


শুনেছি কাজীর বাড়ির বিড়ালও শিক্ষিত। তবে কাজী যতোটা; ততোটা নয়।
আলোর সংস্পর্শে যেমন আঁধার দূরীভূত হয়; তেমনি জ্ঞানীর সংস্পর্শে
অজ্ঞানীও জ্ঞানী হয়।
আলো থেকে আলো হাজার ছড়িয়ে দিলেও যেমন উজ্জ্বল্য শেষ হয় না;
জ্ঞানও তেমনি, অন্যকে দিলেও কখনও ফুরিয়ে যায় না।


প্রকৃত জ্ঞানী ব্যক্তি কখনও অন্যকে জ্ঞান দিতে কার্পণ্য করে না।  


সবাই আকাশের বিশালত্বের খবর রাখে। তবু কেউ তাঁর কাছে দীক্ষা নেয় না।
গুরু কখনও শিষ্যের অমঙ্গল কামনা করে না। করতে পারে না।
অনেক সময় শিষ্য গুরুকে ছাড়িয়ে যায়। তবু গুরু গুরুই থাকে। শিষ্য হয় না।


প্রকৃত শিষ্য কখনও গুরুর অমর্যাদা করে না। তাঁকে মাথায় করে রাখে।


সবাই বলে বড় প্রেম কেবল কাছেই টানে না। অনেক সময় দূরেও ঠেলে দেয়।
আজকাল প্রেমে পড়তেও সময় লাগে না। তেমনি ভাঙতেও সময় লাগে না।
চোখের নেশা যেখানে মুখ্য হয়; সেখানে মনের কোনো খবর থাকে না।  
এই কারণে আধুনিক প্রেম টিকে না। আসলে আধুনিকতার মানেই সবাই বুঝে না।
অনেকটা কচু পাতার পানির মতো। বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। কেবল গড়িয়ে পড়ে।


এই জন্যই একটা প্রপত্র লিখার কথা দিয়েও লিখতেও পারলাম না।।