পথেই হাঁটছিলাম। সে বললো, এ পথ তোমার নয়।  
চারপাশে অট্টহাসি শুনলাম! সবাই বলছে,
এ পথ তোমার নয়। এ পথ তোমার নয়।
কিছুক্ষণ মাটির দিকে তাকিয়ে থাকলাম। অতঃপর
বিনয়ের সাথে জিজ্ঞেস করলাম, তাহলে কার?
সে কোনো উত্তর দিলো না।
ফ্যাল ফ্যাল চোখে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রইল।
বুকের ভেতর কিছুটা শক্তি ও সাহস ফিরে পেলাম।
আমি আবার হাঁটা শুরু করে দিলাম!  


হাঁটছি তো হাঁটছি। আর মনে মনে ভাবছি। কে আমি?
এ পথ কেন আমার নয়?
এ মাটি আমার মা।
এ মাটি আমার স্বাধিকার।
এ মাটি আমার অধিকার।
এ মাটি আমার সমস্ত অস্তিত্বের প্রাণ বিন্দু।
তাহলে কী? আমি আর আমি নেই!
সাপের খোলস বদলানোর মতো আমিও কী বদলে গেছি?
ভাবছি আর হাঁটছি। হাঁটছি আর ভাবছি।
কখনো মাটির দিকে চোখ। কখনো আকাশের দিকে।


এক সময় মাত্রাহীন ভাবনার গভীরে ডুবে যাই।
পথেই পথিক হোঁচট খেয়ে পড়ে যায়।
বাম পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি রক্তে ভেসে যায়।
ফোঁটা ফোঁটা রক্ত গড়িয়ে পড়ে পথের বুকের উপর।
কিছুক্ষণের মধ্যে রক্তের ফোঁটা মানচিত্রের আকার ধারণ করে।
পথ সম্বিত ফিরে পায়। হাত ধরে আমাকে তুলে বসায়।  
অতঃপর বলে,
এতো ভাবছো কেন?  
আমি আবারো বলছি, এ পথ তোমার নয়।
এ পথে এখন দুর্বৃত্তের চাষাবাদ হয়।  
এ পথে এখন ক্ষমতার লড়াই হয়।
এ পথ এখন জবর দখল হয়।
কিছু মনে করো না। আমি আবারো বলছি,
এ পথ তোমার নয়।। এ পথ তোমার নয়।। এ পথ----!!