ময়লার কথা কে না জানে? সবাই জানে। ইতি-উতি পাওয়া যায়।
ইহার এমনই বিরাট খেমতা আছে যে, যা সহজে ধ্বংস হয় না।
এই জন্য ময়লা নিয়া যতো কম নাড়া-ছাড়া করা যায়, ততোই মঙ্গল।  
যার যা ধর্ম; সে অনুযায়ী সে দুর্গন্ধ ছড়াবেই।
যেমন শত ধুইলেও কয়লার ময়লা যায় না, তেমনি মনের ময়লাও।


আজ একটি দুঃস্বপ্ন দেখেছিলাম। দুইটি পাখি তিন ডালে বসে আছে।
অকস্মাৎ তারা ডাল থেকে পড়ে গেছে। একই সুরে গান গাইতে শুরু করেছে।
কোথা থেকে একটি অজগর তেড়ে আসে। আমার ঘুম বাতাসে ভাসে।
স্বপ্নটি বাস্তবে ফলে গেছে।  
এখন আমি নিজেই স্বপ্নের তাবির করতে পারি। গুরুজির কাছে যেতে হয় না।
নিজেকে যে পণ্ডিত মনে করে; সেই সবচেয়ে বোকা।
এই সূত্র অনুযায়ী আমার চেয়ে বড় বোকা আর কে আছে? কেউ নেই।


সারাটি দিন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় কেটে গেলো। কেউ খবর নিলো না।
সবাই ব্যস্ত ছিলো। কেন ব্যস্ত ছিলো? এই কথা এখন আর কেউ বলে না।
ভাল দিন সবাই মনে রাখে। মন্দ দিন কেউ মনে রাখে না। আমিও না।
একটা মন্দ দৃষ্টান্ত অনেক সুনাম খেয়ে ফেলে। কেউ বিশ্বাস না করলেও;
ইহাই সত্য। সত্যকে ছাই চাপা দিয়ে রাখা যায় না। সে বের হয়ে আসে।


সবাই বলছে রক্ষক নিজেই ভক্ষক। তাহলে তক্ষকের দোষ দিয়ে কী লাভ?
কে জানি বলেছে-----  
আজ আকাশে মেঘ জমেছে বলে আর কোনদিন সূর্য দেখা যাবে না!
মেঘ আজ আছে। কাল নাও থাকতে পারে। সূর্য সারাজীবন টিকে থাকবে।
যে প্রকৃত অর্থেই বীর,সে কখনও হারে না। হেরেও জিতে যায়।
ছলে-বলে-কৌশলে তাকে হয়ত হারানো যায়; তবে তাতে গৌরব নেই,
আত্মগ্লানি আছে!!  


ভেবেছিলাম আজ আর কবিতা লিখব না। পারলাম কই?
বাক্স-পেঁটরা নিয়ে কবিতা নিজেই এসে হাজির হলো। আমি কিছুই বলতে
পারলাম না।
হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলতে নেই। তাহলে এক সময় পস্তাতে হয়।
এই জন্যই কবিতাটি ভাঁজপত্রের মতো করে প্যান্টের ছেঁড়া পকেটে ঢুকিয়ে
রাখলাম। প্রকাশ করতে পারলাম না। সৎ সাহস নেই!!