(একটি কবিতা দিবসীয় কবিতা)


মনের ভেতর একটি ময়ূরী পুষছি  
বেশ কয়েক যুগ তো হবেই; সে কখনও আমাকে হতাশ করেনি!
যখন স্বরবর্ণের প্রথম ছবক নিই মায়ের মুখে
ঠিক তখন থেকেই! গেরস্ত বাড়ির উঠোন ভরা আলো,  
এতো আলো কেউ কোনোদিন চোখে দেখেনি! কেউ না।  


যখনই চেয়েছি, সে পেখম মেলেছে।
আঙিনা ভরা দর্শক তার সাথে নেচেছে। তার সাথে গেয়েছে!
সে কখনও না বলেনি। মুখ ভার করেনি।
দশ হাত ভরে দিতে না পারলেও দুই হাত উজাড় করে দিয়েছে।
অথচ
আজ তার গায়েহলুদ! কবিতা দিবস। আজ তার মন ভালো নেই।  
সে মুখ গোমরা করে বসে আছে। এ সব তার ভালো লাগে না।
সে কোনো দিবসে বন্দি থাকতে চায় না।
সে স্বাধীনতা চায়। প্রকৃত স্বাধীনতা চায়।
দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়ায়। ঘরবন্দি জীবন তার ভালো লাগে না।


ঠিক যেনো কবির মতো---!!
কবিও স্বাধীনতা চায়। স্বাধীন ভাবে কবিতা লিখতে চায়।
মনে। মননে। চিন্তায়। চেতনায়। কবিতায় স্বাধীনতা চায়।
পায় না। পদে পদে বাঁধাগ্রস্ত হয়।  
সমাজের বাঁধা। রীতিনীতির বাঁধা। আইনের বাঁধা। ধর্মের বাঁধা।
মন বন্দি জীবন কবিরও ভালো লাগে না।


আজ ময়ূরীর মন ভালো নেই। আমারও মন ভালো নেই।
যা লিখতে চাই, তা লিখতে পারি না।
যা লিখতে চাই না, তাই লিখতে হয়। তাই লিখি।
কোনো এক কবি বলেছিলেন, “স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচতে চায়?”
কেউ না। কবিও না। কবিতাও না। সবাই ময়ূরীর মতো!!