বিগব্যাং থেকেই ছাড়পত্রের নাটকটা বেশ জমে উঠেছে,
বেশ জমে উঠেছে গল্পের পর গল্পের প্লট;  
চিত্রনাট্যটা নেহায়ত মন্দ নয়, কেউ হাসে, কেউ কাঁদে!  
কেউ ছাড়পত্র লিখে রেখে চলে যায় কোনো এক অন্যভুবনে!    
সেখানে ঠিকানা চিনে নেয়;  
আর কেউ সুতীব্র চিৎকারে এসে তার স্থান দখল নেয়!
এভাবেই জমে উঠে কবিতার পর কবিতার আসর,  
দু’দণ্ডের অতিথি একা একা আসে
কিছুদিন অবকাশ যাপন করে, আদমশুমারিতে নাম লেখায়;
অতঃপর কাউকে কাঁদিয়ে
অতঃপর কাউকে হাসিয়ে
আবার একা একাই  প্রস্থান নেয়!  কেউ সাথে যায় না।


সুকান্ত দা এসেছিলো। একটা ছাড়পত্র লিখে রেখে চলে গেছে।
কোথা থেকে এসেছিলো?
আবার কোথায় চলে গেলো?
যে পথে সবাই আসে
যে পথে সবাই ফিরে যায়; সেই পথে!!
সবাই তা জানে, তবু ছাড়পত্রের কথা কেউ মনে রাখে না।।  


রাংসা এক সময় ফুটন্ত যৌবনা নদী ছিলো। এখন যৌবন নেই।
যৌবনের টিকিটিও নেই। কোথায় গেলো সেই আওলাকেশী রূপ?
সেও কি নিয়েছে ছাড়পত্র?
পৃথিবীকে বাসযোগ্য করার দায় কি তার নেই?
এই প্রশ্নের উত্তর কেউ দেয় না। দিতে পারে না।।


উলুখাগড়ার মতো যেখানে সেখানে বিল্ডিং হচ্ছে। কেউ দেখে না।
দেখার দরকারও নেই। পরিবেশ অধিদপ্তর সমানে ছাড়পত্র লিখে দেয়।
বেশ করে। সবাই জানে বিল্ডিং কোড আছে। কেউ মানে না।
এ সবের সাথে আজকাল নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।  ভালোবাসাবাসি।
শুনেছি ক’দিন চুটিয়ে প্রেম করার পর প্রেমিক প্রেমিকাকে ছাড়পত্র
লিখে দেয়। প্রেমিকাও তাই করে।
নতুনেরে কে না ভালোবাসে? তাই ছাড়পত্র কেউ কেউ সাথে করে রাখে!!  
কেবল পৃথিবীকে বাস যোগ্য করে রেখে যাওয়ার অঙ্গীকার
কেউ মনে রাখে না!! কেউ না!!