আজ কবিতা যাত্রা বিরতি নিতে চেয়েছিলো। তার মন ভাল নেই।  
কিন্তু তার সাথে আমার এমনই গভীর আত্মার সম্পর্ক যে,
কিছুতেই আর তাতে সায় দিয়ে টিকে থাকতে পারলাম না।
হৃদয়ের টান এমনি হয়! বাসি ফুলও কথা কয়। এদিকে
সেও দেখি বাহির বাড়ির উঠোন ঘেঁষে ঠায় দাঁড়িয়ে আছে!
আর আকাশ! সে ক্ষণে ক্ষণে নাকাড়া বাজিয়ে ঘোষণা করছে  
প্রকৃতির প্রতিকূল পরিবেশ;  
একটি যুদ্ধংদেহী মাতাল বাতাস সেও খেয়ে না খেয়ে প্রস্তুত!  


সেদিনও তো কবিতা চেয়ে চেয়ে দেখলো
বিদ্যুৎ বিহীন অবুঝ বিকার রাত! কারো চোখে ঘুম আসেনি!
এক হাঁটু সমান বরফের স্তূপও এর আগে আর কেউ দেখেনি;
একজনের চোখের সামনেই আরেকজনের প্রাণ নিয়ে
বেসুরো কালবৈশাখীর সে কী কাড়াকাড়ি! বিজলি চমকের
মতোই
কিষাণির বুকের উপর সাত তবক আসমান ভেঙে পড়লো;
একটি বছরের জীবিকার সব সামান তাঁর জলভরা চোখের সামনেই  
মাটির সাথে মিশে গেলো; এই তো কিছুক্ষণ আগেও যে হাসছিলো  
তাঁর সন্তান! সোনালি ধানের প্রিয় শিষগুলো!
এখন মৃত লাশের মতো প্রাণহীন!
কেবল চেয়ে চেয়ে  
দেখা ছাড়া তাঁর আর কিছুই করার ছিলো না।


কবিতা সারারাত নিরবে চোখ মুছল। এই অকুল পাথারের কোনো
কূল কিনারা করতে পারলো না। মানুষ আর প্রকৃতি। প্রকৃতি আর মানুষ।
এখানে বৈরিতা কোথায় সে কিছুতেই বুঝতে পারে না।