সেদিন মধ্যরাতে এক চিমটি ভবঘুরে রোদের দেখা পেয়েছিলাম,
দশ হাত লম্বা আশা হাতে দাঁড়িয়ে আছে সে একা; আশে পাশে আর কেউ নেই!  
এতো দীর্ঘ রাত গলিয়ে সে আসবে, কেউ ভাবতেই পারেনি।  
জগন্নাথগঞ্জ ঘাটে আরেকদিন দেখা পেয়েছিলাম তার,
হাতে আশা নেই! হতাশা দিয়ে হতাশার দুঃস্বপ্ন নিরন্তর এঁকে চলেছে!


ওই দিন তাকে দেখে মনে হয়েছিলো তাঁরছেঁড়া, আলু-থালু বেশ;
কোথায় দাঁড়িয়ে আছে মাটিতে না পাহাড়ে সে নিজেই জানে না
মহাকালের সমস্ত বোঝা উঠের মতো পিঠের উপর চাপিয়ে সে কুজ্য হয়ে আছে!
কোথাও এক ফোঁটা আলোর দেখা নেই!!
ক্লান্ত, অবসন্ন, ভগ্ন হৃদয়ে নিজেকেই মনে হতো ত্রিভুবনের সবচেয়ে বড় জঞ্জাল!


সেদিন তাকে কিছুটা প্রফুল্ল মনে হয়েছে
মনে হয়েছে একাকীত্বের বিরান প্রহরে সে আর একা নয়
মাঝপথে তার সাথে হয়ত এসে যোগ দিয়েছে কোন অশরীরী আত্মা!


কেউ জানতো না, তারও আগে রোদ আর মেঘ পাশাপাশি ছিলো!!