একটা ঘোর লাগা অরুদ্ধ সকাল-বিকেলের সফল পরিসমাপ্তি হলো,
মাত্র হাত দুয়েক সময় আগে!
যখন সূর্য ঘুমুতে যাবে বলে ঠিক করেছে, ঠিক তখন;
ক্লান্ত আহ্নিক গতি
এখন এলোচুলে  গা এলিয়ে দিয়েছে!
রুদ্ধশ্বাস ছয়দিন না হয় সুতিয়াখালির গহ্বরে হারিয়ে গেলো,
তাতে কী?
আবারো জমে উঠবে সানকিপাড়া শেষ মোড়
রিয়াজের চায়ের স্টল থেকে ফিরার পথে আলু,পটল বেগুন!


তবুও এখানে অনেক কিছুই খুব কাছে টেনে আছে বার্ষিক গতি  
যেমন সন্ধ্যা বাতি জ্বলতে না জ্বলতেই সখিনার মায়ের হাতের
আদুরে রং চা
গলদা চিংড়ির কারি
আর বাংলালিংক দানাদার তরমুজ!
সেই সাথে প্রতি রাতে কবিগুরু আর মঙয়ের সাথে জমে উঠা
মণিপুরি কবিতার আসর!    
প্রাণের ছোঁয়ায় প্রাণ রোজই ডেকে আনত প্রজাপতি রেলক্রসিং!


জানি, কাল প্রত্যূষ নিয়ে আসবে আকাশ বদলের ছাড়পত্র
ঢাকা টু ময়মনসিংহ!
রাস্তার ধূলিকণা সব একসাথে মিতালি পাতাবে নাসারন্ধ
অতঃপর আবার জমবে মেলা জামতলা
রোদ পোহাবে বাস্তবের কড়িকাঠ, শীতল আঁধার নিরবে কাঁদে!!