একটার পর একটা ট্র্যাক বদল  করে দেখেছি,
কোনো ম্যাজিক লাইন খুঁজে পাইনি!  অ থেকে চন্দ্রবিন্দু,
সবখানেই দেখেছি জীবনের রশি ধরে আমরণ টানাটানি!
কোথাও পায়ে চলা মসৃণ পথের পর বালিয়াড়ি পড়ে
আবার কোথাও বালিয়াড়ি এনে দেয় নিশ্চিত গন্তব্য!    
এই যা পার্থক্য!! তবে নিরুদ্দেশ যাত্রীর এই পথ চলা
কখনও থেমে থাকে না!


জীবনের খেরো খাতার মতো শৈল্পিক(!) চোখ
প্রতিদিনই গুনে রাখে পাতা ঝরার  শব্দ, আমৃত্যু বাঁচিয়ে রাখে
বেদনার স্মৃতি! অতঃপর বৃদ্ধ কাপালিক এসে শুনিয়ে যায়
পাকা কুন্তলের সন্দেশ,  
ভাঁজপড়া চামড়ায় শুরু হয় জীবনের নামতার পাঠ!
এভাবেই সকাল পেরিয়ে দুপুর হয়
এভাবেই দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়
অতঃপর বিকেলের কমলা রোদে সন্ধ্যা নামে!  


পেছনে পড়ে থাকে বসন্তের সৌরভ, ঝাপসা চোখ
দিন গুনে; বারবার পঠিত খবরের কাগজের মতো,
নিজেকে মনে হয় কোনো এক অবুঝপত্র অথবা উচ্ছিষ্ট!!