একটা পত্র সংকলন শুরু করেছিলাম, শেষ করিনি।
ভাবনার ভিড়াভিড়িতে চাপা পড়ে আছে। আজকাল
ভাবনারাও বড়ই বাড়াবাড়ি করে। কার আগে কে আসবে?
সেই অসুস্থ প্রতিযোগিতা! এই যে এতো করে বলি,
সব কিছুতেই প্রতিযোগিতা থাকা ভাল; তবে অবশ্যই
প্রতিযোগিতার নামে বাড়াবাড়ি, কাড়াকাড়ি ভাল নয়!
কে শুনে কার কথা? সবাই যে যার মতো দৌড়ঝাঁপ
পাড়তে থাকে!


জানতাম, অস্থির চিত্তের এই সমস্যাটা মানুষের আছে।
এখন দেখি কবিতারও আছে! বেজায় উদ্বেগের বিষয়।
একটা প্রতিষ্ঠিত ধারণা নিয়েই বড় হয়েছি; সেটি
হলো, শিল্প-সাহিত্যের লোকজন একটু বড় মাপের হয়।
একটু বড় মনের হয়। তাদের সবারই আকাশের মতো
একটা একটা উদার জমিন থাকে। সেখানে তারা
সৃজনশীলতার চাষ করেন। সত্য ও সুন্দরের উপাসনা
করেন। তাঁরা সমস্ত সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে থেকে মানুষ ও
সমাজকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন!


এখন দেখছি পুরোটাই কেমন জানি গড়বড়। এখানেও
তিন’চোখ ওয়ালা মহা মহা বিজ্ঞজন আছেন। শুনেছি
তাদেরও সিণ্ডিকেট আছেন। সেখানেও কিছু দলকানা,
তালকানা, তেলবাজরা আছেন। এসবকে তারা দোতলা,
তিনতলা ডিঙ্গানোর সিঁড়ি হিসাবে ব্যবহার করেন।
তারা হরহামেশাই বিবেক কিনেও নিতে পারেন; আবার
নির্দ্বিধায় বিক্রিও করতে পারেন!!


একটা নির্ভেজাল সাহিত্যপত্র লিখতে চেয়েছিলাম। এতো
কিছু জানার পর, দেখার পর এখন লিখার আগ্রহে কিছুটা
ভাটার টান আছে! কোনোভাবেই বুঝতে পারছি না,
শিল্প-সাহিত্যের এই পবিত্র অঙ্গনটা যদি এভাবে পচা
ডিমের মতো হয়ে যায়? তাহলে মানুষের দুটি পা রাখার
এক চিলতে জায়গা কোথায় খুঁজে পাওয়া যাবে?