মানুষ যেমন সামাজিক জীব; তেমনি অঙ্গীকারাবদ্ধ জীবও।
এই অঙ্গীকারে আবদ্ধ হওয়া মানুষের স্বভাব জাত। এই
অঙ্গীকার কেউ কেউ পালন করে। কেউ কেউ পালন করে না।
না করতে পেরে কারো কারো অনুশোচনা হয়। কারো কারো
হয় না। আদম-হওয়া স্রষ্টার কাছে অঙ্গীকার দিয়েছিলেন।  
রক্ষা করতে পারেননি। পরে অনুশোচনা করেছিলেন। ক্ষমাও
পেয়েছিলেন।


চলতি পথে আমরা কতোই না অঙ্গীকার করি! মনে থাকে না।
চলছে নির্বাচনী দৌড়। কাল ফাইনাল। মেলা ইশতিহার।
আর ইশতিহার মানেই অঙ্গীকারের ফুলঝুরি! নির্বাচনী
বৈতরণী পার হওয়ার পর যদি তার অর্ধেকও মনে থাকে,
তাহলে আর অঙ্গীকার ভঙ্গের কোনো অনুযোগ করব না।
কে নির্বাচিত হবেন আর কে হবেন না! সেটা বড় কথা নয়।
যিনিই নির্বাচিত হউন না কেন তিনিই জনগণের প্রতিনিধি।
তিনি যেন জনগণের কথা ভুলে না যান। জনগণের কাছে
দেওয়া অঙ্গীকারের কথা ভুলে না যান।  তিনি যেন ভুলে না
যান জনগণের সামনে বারবার পরীক্ষা দিতে হয়! তারা
একবার ভুল করে। বারবার করে না।


মনে কতো অঙ্গীকার করেছি, কোনদিন আর মিথ্যে বলব না।  
বদ অভ্যাস গুলো ছেড়ে দেব। অন্যের অমঙ্গলের কথা ভুলেও
মনে ঠায় দেব না। এই ভাবে কতো শত অঙ্গীকার করেছি আর
নিজের কান নিজে মলেছি! কী হয়েছে তাতে?
এখনও হলফ করে বলতে পারি না, কোনটা পালন করেছি;
আর কোনটা পালন করিনি!!


সর্বশেষ তোমাকে কথা দিয়েছিলাম, সারা জীবন ভালোবাসব!
দুই সন্তানের একটা সুখী নীড় গড়ব। একটি ছেলে। একটি মেয়ে।
তারা প্রজাপতির মতো তিড়িং বিড়িং করে নাচানাচি করবে।
আমরা দু’জন  হাতে হাত রেখে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবো।
এখন নীড় ঠিকই আছে; তবে ভালোবাসা কতোটা আছে জানি না!
সারাক্ষণই অভাব-অভিযোগ লেগেই থাকে। কেবলই দাও, দাও।  
তবে আশার কথাও একটি আছে। এই ভালোবাসা যেমন একেবারে
মরে যায় না। চরম দুঃখ, কষ্টের মাঝেও কখনও কখনও
জেগে উঠে!!  
তেমনি সত্যাশ্রয়ী মানুষের অঙ্গীকার কখনও বৃথা যায় না!!