জমানো বিষাদের ফুলগুলো বাসি হওয়ার আগেই
চৈত্রের খরতাপ ডেকে এনেছে ভাইফোঁটা! দিনান্তে
কালি আর কলম একসাথে ঘুম ভেঙে জেগে উঠেছে!
এই বুঝি তবে মানসীর আঁধার রজনী শুরু করবে
চিকন সুতোয় শৈল্পিক মাকড়শার জাল বোনা!  
দৈবাৎ ছুটে আসবে হাসিবাসি, কামনার রোদ্দুর;
এক পাশে সহাস্যে মিহি কাউনের দানা, আরেক
পাশে দুএকটি লতানো বিষ কাঁটালির ছানা!


ক’দিন আগেও হিমেল হাওয়া এসেছিলো জালি
লাউয়ের ডগা, সাত পুরুষের পৌরুষ লুকিয়েছিলো
শীত-বসন্ত; এখন গ্রীষ্মের কড়ি কাঠ পোহায় খবর
পত্র! এক জীবনে কেউ দেখেনি এতো তন্ত্রমন্ত্র!  
শাঁখের করাতের মতো কৈবর্ত পাড়া, আইতেও
কাটে, যাইতেও কাটে; ঈশ্বরের চোখ তেলাপোকা!


এক সময় লবঙ্গ লতায় জন্ম নিয়েছিলো মাছের চোখ,
সেই চোখ এখন ছানি পড়া; বাজখাই আওয়াজে  
সবাই ভুলে গেছে সাত পুরুষের নাম; কেবল কেউ
জানে না বাঘের ঘরেই বাস করে ইতর চামচিকা!
ট্রাক্টর দোহন করে বলদ গরু, উল্কি দিয়ে কবি রচে
কবিতা! সুবোধ পাঠক চোখ বন্ধ করে গিলে খায়!!  
আর মুখে বলে কোনো ভেজাল নাই, মুনি,ঋষি,তান্ত্রিক
সবাই এক জোট; সভ্যতার খোল নলচে এখন
বাক্স প্যাঁটরায় বন্দি কমদামী দু’আনার ললিপফ!!