যে আচানক দিনকাল পড়েছে , শুয়ে শুয়ে হাঁটি;
চোখের সামনে চাঁদ গড়াগড়ি যায়, হেসেই হই লুটোপুটি!
অনাহুত মোহনায় অনায়স মিলে যায় পিত্তথলির রস;  
উপায়ান্তর না দেখে শেষমেশ তাই ভক্ষণ করে
রাক্ষুসে পাকস্থলী!


শব্দভুক পদ্যগুলো বড় বড় চোখ করে চায়,  
সেই সাথে খুনসুটি করে উপমার মা, সাবলীল ভাব আর
ভাষারা এসে অনাহুত অতিথির মতো ফিরে যায়!
কঠিন কঠিন শব্দ গিলে খায় কবিতা
কিছু বোদ্ধা পাঠক বাহবা দিয়ে যায়, বাকিরা কিছু বুঝতে
না পেরে আলু পটলের মতো মাথা চুলকায়!!  


কবিও বুঝতে পারে না কবিতার সংজ্ঞা!  
বুঝতে পারে না দুর্বোধ্যতা আর কবিতার সম্পর্ক!
তবে কি পাঠক যা বুঝতে পারে তাই কবিতা?
নাকি অন্যকিছু------?


এইসব ভাবনারা আজ কবির সামনে হাঁটে,পেছনে হাঁটে,  
ডাইনে হাঁটে, বামে হাঁটে;
একটা বিলক্ষণ বিষণ্ণ ছায়া কবিকে সারাক্ষণ ঘিরে রাখে  
আর তাই আজ কবির কোনো কবিতা লিখা হলো না!!