মনে আছে তুমি একটা গল্প শুনতে চেয়েছিলে? সুখ পাখিটার গল্প!
শোন, তবে একটা গল্প বলি!  
তখন শীতের মধ্যরাত। কনকনে শীতল হাওয়া পাটখড়ির বেড়ার
ফাঁক গলিয়ে চোরের মতো ভীত পদক্ষেপে ভেতরে প্রবেশ করছিলো,  
তখন আমার গলা আর বুক-পিঠ পেঁচিয়ে রেখেছিলো তোমার দু’হাত!  
আর তোমার প্রতিটি উষ্ণ নিঃশ্বাস সাগরের ঢেউয়ের মতো ছুঁয়ে  
দিচ্ছিলো আমার লোমশ বুক!


একটু পর পর উষ্ণতা গড়াগড়ি খাচ্ছিল আড়বাঁশি নাকে নাক,
টিয়াপাখি  ঠোঁটে ঠোঁট, একটু একটু করে ক্রমেই ভেঙে পড়ছিলো
লজ্জা বালির বাঁধ!  তখন তুমি খুঁজছিলে শীর্ষ সুখ!
এক সময় এই কনকনে শীত উপেক্ষা করে ভেসে আসে জোয়ারের
জল, আমি মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে দেখছিলাম তোমার এভারেস্ট চূড়ার
গর্বিত উঠানামা! তুমিও তখন লজ্জার আগল ভেঙে জানান দিয়েছিলে
নকশী কাঁথা! একের পর এক মুদ্রণে রচিত হয়েছিলো গল্পের মুখ!  


বেশ তো চলছিলো-----!  
মহাকালের নিকট থেকে ধার করা যাপিত জীবন।
এরপর কী হলো? প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির হিসেব-নিকেশ!
নক্ষত্র গুলো যেমন করে নিজেদের ভেতর দূরত্ব বাড়িয়ে নেয়,
তুমিও তেমনি একটু একটু করে কেনো জানি নিজেকে বদলে নিলে!
একটা সময় আমার আর নিজের বলতে কিছুই থাকলো না;
না অধিকার না কর্তব্য!!  
মাথার উপর এতো বড় আকাশ, তবু আমি কোথাও ঠাই পেলাম না!
যেদিকেই যাই, যেদিকেই তাকাই পথ এসে আগলে  দাঁড়ায় পথ!


এখন আমি রোজ রাতে আকাশের তারা গুনি, হিসাব রাখি না।  
গল্পের ছলে একের পর এক কবিতা লিখি,
সহৃদয় পাঠক বুঝে নেয় কবির অসহায়ত্ব, কেউ কেউ খুনসুটি করে
শব্দ ও বাক্য!!