আমি এখন নৈঃশব্দের বাতিঘরে
শীত এবং বসন্তের মধ্যবর্তী অনুসর্গ,
সংজ্ঞাহীন পৃথিবীর ছায়া;
আমার আশেপাশে কেউ নেই
কেবল সযত্নে লালন করি
নির্বাসিত জলের মায়া----!!


এখন আমি দুঃস্বপ্নের মাঝামাঝি
শুকনো পাতা ঝরার শব্দ শুনি,
কেবল শব্দ শুনি দুর্বিনীতের--
কাক পক্ষী, তরুলতা ওরাও শোনে
বুকের দুই পাড় ভাঙার শব্দ;
স্মৃতির শহর মাঝে-মধ্যে কেঁপে
উঠে শব্দহীন ভুমিকম্প;
সবাই হাসে অট্রহাসি ---!!


আমার হাসি হাসে না
কেউ ভালোবাসে না রাঙতার
কাজল, সবাই চাঁদ ভালোবাসে
কেউ কলঙ্ক ভালোবাসে না !!


তবুও আমি ভেজা দাঁড়কাক
জলের মায়া ছাড়তে পারি না!!