অনেকদিন কোনো দাওয়াত টাওয়াত পাই নে
সেই কবে নিজের বিয়ের দাওয়াত খেয়েছিলাম
সন্ধ্যার আঁধারের মতো আবছা আবছা মনে পড়ে
তখন সবে সেপ্টেম্বর মাস মাঝনদী পার হয়েছে
তবুও শীতের ঘনঘটা ছিলো চোখে পড়ার মতো
ছিঁচকাঁদুনী বুড়ির মতো ঘোর আকাশ
সমস্ত গা কুয়াশার নীলাম্বরীতে ঢাকা ছিলো
কাবিননামায় স্বাক্ষর করার সময়
কী জানি কী ভেবে আমার চোখেও তখন শ্রাবণ
তবুও শেষ পর্যন্ত মেনে নিয়েছিলাম বন্দিজীবন!



কতোদিন পরে আজ আবার বিয়ের আসরে--
কমিউনিটি সেন্টারে গিজগিজ করছে সমস্ত মানুষ
যেনো কেউ কোনোদিন বিয়ের দাওয়াত খায়নি;
কে আগে বসবে, কে আগে উদরপূর্তি করবে
চেয়ার নিয়ে শুরু হয়েছে পৈশাচিক টানাটানি,  
বাইরেও বসার কোনো জায়গা সংকুলান নেই
আমি গেস্ট ভি ভি আই পি, সাথে আমার স্ত্রী,
পুত্র, ভাতিজা এবং কন্যাদ্বয়;
এভাবে কতোক্ষণ আর দাঁড়িয়ে থাকা যায়!


ব্যাচের পর ব্যাচ উদরপূর্তি করে বের হয়ে আসছে
বাইরে আমার মতো অপেক্ষমাণ আরও শত শত
যাদের খাওয়া হয়েছে তাদের অনেকেই খিলিপানে
জাবর কাটছে, আর কেউ সিগারেটের মুখাগ্নি করছে;
সিয়াম, ইউশা, ঐশী কয়েকবার আমাকে বলেছে
বাবা চলো, ধানসিঁড়ি রেস্টুরেন্টে খেয়ে বাসায় ফিরে
যাই; আমি ওদের কথায় কান দিইনি
বিয়ের অনুষ্ঠানে অমন একটু আধটু ওরকম হয়েই
থাকে, তার উপর আমাদেরকে বসানোর জন্য বর
এবং
তার বন্ধু-আত্নীয়দের প্রাণান্তকর চেষ্টার অন্ত্য নেই!


অবশ্য একজন আরশি আছেন  
তাকে কোনো বিরক্তি স্পর্শ করতে পারেনি, হয়
খেলেছেন, না হয় নতুন বউয়ের কোল আলো করেছেন!


অবশেষে উপায়ান্তর না দেখে বিশেষ ব্যবস্থাপনায়
আমাদেরকে বসানো হয়েছিলো,
ততোক্ষণে সমস্ত কমিউনিটি সেন্টার জুড়ে কেবল
কাবাব আর মাংসের কারির পরিবর্তে মাঘের
খুশবাই ঘুরিতেছে -----------—ফিরিতেছে----!!!