সারাদিন যা কিছু দেখি সবকিছু বিনয়ের চোখে
দেখার চেষ্টা করি, এই যে সেদিন তুমি আমাকে
তেলাপোকা, টিকটিকি, গণ্ডার কতোকিছু বললে—
কতোকিছু--! আমি এতোটুকুও রাগ করিনি!
অতঃপর তুমি আরও কয়েক কদম আগবাড়িয়ে
পাহাড়ের চূড়ায় উঠলে, বজ্রের মতো কিছুক্ষণ
পর পর হুঙ্কার দিলে, ক্ষ্যাপা মোষের মতো এদিক
-সেদিক পায়চারি করলে, আমার নাকের ডগায়
বাকের ভাইয়ের মতো সদ্যকেনা চাবির রিং
ঘুরালে------এই যে তোমার এতোকিছু ঝড়,
জলোচ্ছ্বাস তারপরও
আমি তোমাকে কিছু বলেছি বলো--- বলো?


অতঃপর আমার বিনয়ের চোখ তোমার সব রাগ-
দেমাগ গোগ্রাসে গিলে ফেললো, তুমি আগুন-জলে
মাখামাখি হলে, ভাঙা আয়নাটা, তোমার-আমার
জোড়া ছবি আগলে রাখা কাঁচের ফ্রেমটা—জোড়া
দেওয়ার বৃথা চেষ্টা দেখে আমার দু’চোখের জল
অনেকদিন পর ছলছল হলো, ভারাক্রান্ত হলো;
তুমিও তখন বেনারসি শাড়ির মতোন চিকচিক
করছিলে, আমার চোখ, তোমার চোখ তখন মুখ
টিপেটিপে হাসছিলো --------------------!!


জানো, সেদিন অফিস থেকে ফেরার সময় আমি
কতোকিছু ভেবেছিলাম--- কতোকিছু; এখন শীতের
শেষাশেষি, বসন্তের পদধ্বনি; শুনেছি এই সময়টা
প্রজননের খুব উর্বর, আমাদের টেরাকুটিরে মিউ মিউ
শব্দ হবে, সারারাত জেগে আমরা দুজন সেই শব্দে
তা দেবো, জানলা খুলে রাত ডাকবো, চাঁদ ডাকবো,
আগুন-জলে মাখামাখি হবো--------------!!