গতকাল রিহার্সাল ছিলো-------------------------
আজ ফাইনাল হবে এমন-ই তো কথাছিলো; কথা ছিলো
আজ সমস্ত অন্ধকার ঝাঁক দেবো, একটা একটা করে
ধরে এনে শহরের আনাচে-কানাচে পুঁতে রাখবো----!

অতঃপর বেজে উঠবে রেফারির গাঙ পরাণের বাঁশি
আমরাও বাঁশি বাজার সাথে সাথেই টুং টাং শব্দে, সংযুক্ত
বর্ণমালার মতো মেতে উঠবো শব্দ গঠনের কাজে,
একেবারে প্রমিত বানান রীতিতে, প্রশিক্ষিত শুদ্ধ উচ্চারণে
চিনা জোঁকের মতো লেপ্টে থাকবো শরীরের সাথে!


সেভাবে-- যেভাবে ঋদ্ধ পাঠক কবিতা থেকে লাবণ্য
কুঁড়িয়ে নেয়; উপমা, অলংকার, অনুপ্রাসে নিজেকে
খুঁজে পায় --ঠিক সেভাবে ছন্দ, মাত্রা, তাল , লয়!

অথচ সব মাটিচাপা করে দিলো সচেতন মানুষ
যেখানেই যাই রূপক কবিতার মতোন সেখানেই মানুষ;
পার্কে, রেস্তোরাঁয়, হোটেল-মোটেল, সী-বিচ সবখানে
কেবল শিক্ষিত, অর্ধ-শিক্ষিত অশিক্ষিত, প্রশিক্ষিত মানুষ!


আমাদের মতো ওদেরও কেউ কেউ আশ্রয় চায়,
নিরাপদ আশ্রয়, শব্দ গঠনের মতো নিরাপদ পোতাশ্রয়;
কেউ পায়, আর কেউ পায় না
অনেকেই অচল পুরাতন মুদ্রার মতোন
তবুও -----
সচেতন মানুষের দুর্ভেদ্য চোখ প্রকৃত শব্দের গঠন!!


তবুও বলতে কোনো কার্পণ্য নেই
ভালোবাসা কেউ পায়, আর কেউ পায় না ------!!