শিমুল, কৃষ্ণচূড়া, সজনে পাতাদের নিয়ে আর কতো  কবিতা হবে?
আর কতো বালুচরে বাঁধবো বাসা......
আর কতোকাল.....
প্রাণহীন নদীর মতো বুকে বেঁধে রাখবো যুবতী  আশা?
সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়ামে আর কতো শুনতে হবে
আ মরি বাংলা ভাষা....?
আমি আর কিছু বলতে চাই না
প্রলেতারিয়াতদের কথা সবাই মুখে বলে, বুকে বলে না!


প্রলেতারিয়াত শব্দটি আমি খুব ভালো বুঝি না
কোনোদিন বুঝতে চাইও না
আমি চাই আর একটি ৮ ই ফাগুন আ।বার ফিরে আসুক
কৃষ্ণচূড়া তার সন্তান ফুলকে যতোটা ভালোবাসে
আমার দুঃখিনী বর্ণমালা মা। আমাকে ঠিক ততোটা ভালোবাসুক
আমি চাই আমার বর্ণমালা বিশ্বময় সৌরভ ছড়াক
সকল বাঁধার শিকল ছিঁড়ে যাক, কাঁটাতার বাতাসে উড়ে যাক
আমার ছেলেবেলার সাক্ষী শিমুল আর সজনে গাছটি
উপনিবেশিক শৃংখল ভেংগে মুক্তি পাক!


অথচ আমরা সবাই মুক্তির কথা বলি, যুক্তির কথা বলি
ওসব ভাঁওতাবাজি এখন আর কেউ বিশ্বাস করে না
অন্তত সালাম, বরকত, রফিক, জাব্বার, শফিউর ওরা.।.
এখনো দিকে দিকে শোনা যায় ফণাতোলা নাগিনীর বিষাক্ত নিশ্বাস
বলো তবে কৃষ্ণচূড়া, শিমুল, পলাশ.....
আর কতোকাল হজম করবো রাক্ষুসিদের মিছে আশ্বাস?


তারচেয়ে বরং নিরীহ বেচারি কবিতারা মুক্তি পাক
জুঁই, চামেলি, চম্পা ওরা আরেকটি ৮ই ফাগুনের ডাক দিয়ে যাক!!
.