(পৃথিবীর সকল মায়ের মহান চরণে নিবেদিত)


শতবর্ষী বট গাছটির শীতল ছায়ার নিচে বসে
এখনও আমি নিজেকে বাঁচাই রোদ, বৃষ্টি, ঝড় থেকে
এখনও অহর্নিশি ছাতার মতো আগলে আছেন
আমাকে, অংকুর থেকে চারা, চারা থেকে কুঁড়ি
অতঃপর ফুল, ফসল ।


সদ্য পোয়াতি পাখি যেমন মেলে রাখে ডানা
অসহায় ছানাগুলো যেখানে খুঁজে পায় ঠিকানা
দিনে দিনে বড় হয়, মেলে দেয় দুরন্ত পাখনা
আমিও তেমনি আজন্ম সারস শাবক
আমারও আছে অঢেল স্নেহের ছায়া
আমাকে জড়িয়ে আছে কপোত-কপোতীর অশেষ মায়া।।
আমাকে একটুকরো সুখ দিবে বলে কতো অঞ্জলি
এখানেই এসেছেই বুঝিবা সার্থক হয়েছে গীতাঞ্জলি!


মুখ দেখেই বলে দেয় হৃদয়ের রঙ
আমার সুখ বটিকার তরে শত জোড়াতালি
আর মিছে সাজা সঙ
তবুও রক্তের ঋণ, শোধিতে পারিনি কোনোদিন
বেলা যায়, যৌবন গায় নতুনের গান
ঝরা আর ব্যাধি ঝেড়ে ফেলে দেয় বটের মূল!


জানি একদিন সবাইকে ছুঁয়ে দিবে হিমশীতল মরণ
আমি যেনো আমৃত্যু ভালোবেসে যেতে পারি...
                              আমার মায়ের সুচরণ!