কতোদিন হয় ভুতুমের লেঙুর দেখি না
যে কিনা ছিলো একদিন, সমস্ত রাত্রির আলো;
কেবল অন্ধকার জানে
সে শব্দতরী বাইতো কতো না ভালো!


মেঘ না চাইতেই জলের মতো সেও ছিলো
     একদা অচেনা সময়ের প্রহরী
ইথার তরংগ ভাঙতে ভাঙতে ভেসে আসতো
      আমার ভুতুমের সুরের লহরী!


আমি এখন প্রায়শ ভুতুমের স্মৃতি পাঠ করি
শাখা কাটা নদীর মতো শিমুলের হাতে পায়ে ধরি
তবুও সে আসে না
ভালোবাসে তো বাসে না
আমি আধা ভৌতিক আলোয় রিনিঝিনি ভাবি
আমি হাতিয়া দ্বিপে নির্বাসনের কথা ভাবি!!


আমার যে মাথায় কোনোদিন তেল ভাঙেনি
এখন সেই মাথায় অহরহ বেল ভাঙে
হুট-হাট শব্দ হয়
রাতের নীরবতা ভেংগে নিষিক্ত জলের পতন হয়
আমি কিছু বলি না
আমি শাহ পরানের পূন্য ভুমির কথা ভাবি
আমি শাহ মখদুমের পূন্য ভুমির কথা ভাবি!


তবুও আমি মান্দারের কাঁটার কথা ভাবি না
যে নিজেকে হিমাংশু বলে গালি দেয়
                            আমি তার কথা ভাবি!
অতঃপর
ছেঁড়া দ্বীপ থেকে কিছু বেদনা কিনে আনি
তিন সতীনের ঘরে, দুই সতীনের মতো করি
                              সংগোপন কানাকানি!


যদি কখনো আমার ভুতুম ক্ষণিক প্রভা হয়
অতিথির মতো পথের সাথে দু'চারটে কথা কয়
আমি আর কিছু বলতে চাইনে....
যার আছে রিক্তের বেদন, সেই বুঝে বেদনা
তবুও আমি ভুতুমের তরে
জলাঞ্জলি দিয়ে যাই, কিছু শব্দের প্রনোদনা!!