কেউ জানে না....
পাগলিটা কীভাবে পোয়াতি হয়েছিলো?
আমি জানি,
সে নিজেই নিজেকে পোয়াতি করেছিলো!
কীভাবেই বা জানবে....?
সারাদিন চায়ের স্টলে তেলাপোকার মতো কবিতা ঘুরে
রাজনৈতিক কবিতারাও ঘুরে বেড়ায় সুরে-বেসুরে,
আজ আমারও কোনো কাজ নাই
আমিও নিদান বৃষ্টির জলের মতো নিখাদ ভবঘুরে!


তবুও রাত্রির কিছুটা ভাগ কোলবালিশের খুনসুটি শুনি
তবুও চাতকের মতো সারাটি জীবন জলের তৃষ্ণা বুনি!


কিছু অপাংক্তেয় ছলনা মধ্যরাত্রিতে বিবাগী হয়
বাচাল প্রহর শিতান পৈথান জুড়ে ললনার মতো কথা কয় মাটি
কী মর্মন্তুদ!
কী অদ্ভুত!
বিরহের কাঁচিতে আমিও সমস্ত রাতের জ্যান্তঘুম কাটি!


আমি নিমিষেই নিরামিষভোজী হওয়ার কথা ভাবি
ঘোলাজলে মিটিয়ে দিই তোমার  ভালোবাসার দাবী
যে পাগলীটা মা হয়েছে, কেউ বাবা হয়নি
                      আমি তার কথা ভাবি.....!!
যে সমাজ দায় নেয়নি, আমি তার কথা ভাবি
রাষ্ট্রের চোখ কোথায় আছে, আমি তার কথা ভাবি!!