পাশাপাশি ফ্ল্যাট
ছাদের কার্নিশ ঠিক এপার ওপার
সকালের সূর্যস্নান কিংবা বিকেলের উপভোগ্য নীরবতায়
যখনই এ ছাদে আসি
ওপারে দেখি উঠে আছে চাঁদ অসম্ভব নিপুণতায় চিরযৌবনা;
বহু প্রতীক্ষিত প্রাণ
তৃষিত চোখের ক্ষিপ্রতায় ব্যাকুলিত।


চোখে চোখ, কিছু হাসি, কিছু কথা
এভাবেই কিছুদিন....
তারপর- একদিন ধোঁয়া ধোঁয়া গোধূলীবেলায়
হরিণীর চোখ তুলে আধফোটা গোলাপের মতো
একরাশ ফুলের সুন্দর ডালি ধরে বলল,
এসো, গোলাপের গন্ধ মাখি সারা গায়।


আরও একদিন...
দুটি বেদানার ফল;
আরও একদিন ...
একটি পাথরে খোদিত পায়রাজোড়া;
আরও একদিন...
উজাড় করে বলল মনের কথা:
‘দিলাম আমার যত অনুভূতি-
বাগানে তোমার স্থান করে দাও।’
প্রতি রক্তকণা কেঁদেছিল সেদিন।
তারও বেশ কিছুদিন পর
মায়াময় বিকেলের প্রলোভনে
ফিরে আসি সেই ব্যালকনি পাশে
দেখি সেই প্রতীক্ষিত চোখ,
আজও ওপারে মেঘঢাকা চাঁদের মতো ধূমায়িত;
বাষ্পিত বিষণ্নতায় ধীরে ধীরে কাছে এলো
শুকিয়ে যাওয়া নদীর মতো ভীরু ভীরু পায়ে।
কন্ঠে এলো বাধা-
কাঁপা কাঁপা ঠোঁটে বলে গেল চলে-
‘শেষ দেখা আর দু-ফোঁটা চোখের জল
রেখে গেলাম- ভালো থেকো।’


সেই শেষ-
আর কোনও দিন সামনে আসেনি ও;
সলজ্জ ভঙ্গিতে
আরক্তিম লালিমায়
ছন্দিত ঝরনার মোহিত ঝংকারে।


সব সুরের মূর্ছনা এখন জীবন-সংসারে।