সকালের নরম রোদে, ঘাসের ডগার শিশির বিন্দু,
এখনো আলো ছড়ায়।
পাহাড়ের সারিতে দিনের আলো,
এখনো তেমনি করে লুকোচুরি খেলায় মত্ত হয় ।
মেঠো পথের পাশে অশ্বত্থ গাছটা, এখনো ঠায় দাঁড়িয়ে,
মাঠের পর মাঠ, অকৃপণ ছড়ানো সবুজ রং,
অবাক চোখে চেয়ে দেখি,
কৃষাণী বধূ এখনো হেটে যায়,
মাঠে, মাটিতে, ঘাস আর অপেক্ষায়,
ভালোবাসা পূর্ণতা পায়।
কাশ বন ছুঁয়ে সে নদীর স্রোত এখনো ক্লান্তি হীন,
অনন্ত ছুটে চলা দিগন্তে বিলীন।


সব তেমনি আছে ,
ঠিক যেমনটি থাকার কথা,
শুধু ঘড়ির কাটা থেমে নেই,
তার সাথে থেমে নেই নশ্বর পরিবর্তন।
ক্ষুরধার দৃষ্টি এখন ক্লান্ত, ধূসর।
ঘষা কাঁচের আড়ালে স্তিমিত, নির্লিপ্ত।
ঝাঁকড়া চুল ছুঁয়ে একগুচ্ছ কাশ বন।
বজ্র কণ্ঠ এখন দ্বিধাগ্রস্ত, প্রায় অস্পষ্ট,
করুণা ভিক্ষের গ্লানি সেখানে খুবই স্পষ্ট ।
জীবনের চাওয়া পাওয়া লাভ ক্ষতি,
ভালোবাসা ভালোলাগা এক সুদূর স্মৃতি।
জীবনের শুন্যস্থান পূরণের অপ্রয়োজনীয় আবদার,
প্রয়োজনের ঘূর্ণাবর্তে দিশেহারা একাকার।
শুধু বেঁচে থাকা।
এক পা, এক পা।
নিয়মের বেড়াজালে কঠোর শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন।
আজীবন।
যতটুকু বাকি জীবন।