======================


সেই কালো রাত,
আর আলোর মুখ দেখেনি কখনো।
দেখতেই চায়নি হয়তো।
নতজানু নপুংসক কাপুরুষত্বের অক্ষমতা,
অন্তঃদহনের তীব্র আগুন, যন্ত্রনা
অদম্য নিভৃত কান্না,
বিমূঢ় লজ্জায়, ঘৃণায়
আরো কালো অন্ধকারে লুকিয়েছে মুখ।
কালো চাদরের নিচে বয়ে গেছে রক্তের স্রোত।
সাত কোটি বাঙালির রক্ত
ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত
জাতির পিতার রক্ত
সহস্র আগ্নেয়গিরির টগবগে স্ফুরিত কথামালা,
শৃঙ্খলিত অন্ধকারে প্রাণান্ত খুঁজে ফিরেছে পথ,
রুদ্ধ আবেগ, ভয়, শংকা
নিঃশব্দ চিৎকারে বাড়িয়েছে হৃদয়ের রক্ত ক্ষরণ,
তবু ভাঙেনি সুনসান নীরবতা,
কেউ বলেনি একটি কথা,
হয়নি কোনো প্রতিবাদ,
রাজপথে নামেনি মানুষের ঢল,
উত্তাল জনসমুদ্র, মিছিল, স্লোগান, প্ল্যাকার্ড
ছিলো একদম চুপচাপ।


যে কণ্ঠ একা,
সাত  কোটি মানুষের জন্য, স্বাধীনতার জন্য
চরম ঔদ্ধত্যে উপেক্ষা করে মৃত্যু পরোয়ানা,
রুখে দাঁড়িয়েছিল,স্তব্ধ করে দিয়েছিলো
রাষ্ট্রতন্ত্র, সমরযন্ত্র, একনায়কতন্ত্র
বন্দুকের নল, কামান, মেশিন গান
আর ট্যাঙ্কের চাকা।
সেই বজ্র কণ্ঠ,
রক্তস্নাত, স্তব্ধ, পড়েছিলে কালো অন্ধকারে
কৃষ্ণ কালো রাত্রি,
সে কষ্ট, সে লজ্জা
ঢেকে রেখেছিলো কালো চাদরে।
চাদরের নিচে বয়ে গেছে তাজা রক্ত,  
সিঁড়ি গড়িয়ে সে রক্তের স্রোত,  
মিশে গেছে সাত কোটি মানুষের রক্তে।
তারপর বয়ে গেছে অবিরাম,
পিতা থেকে পুত্রে,
জন্ম থাকে জন্মান্তরে,
শিরায় শিরায়,ধমনীতে, হৃৎপিণ্ডে, প্রতিটি স্পন্দনে।

সে রক্তের স্রোত আজও বহমান,
তাইতো, আছে সব সময় আমাদের সাথে,
চির জাগ্রত,  
পিতা শেখ মুজিবর রহমান।


==========================================