================================


সেই কবিতাটি এখন আর পড়া হয় না।
উল্টানো হয় না পুরোনো ডাইরী টা।
জীর্ণ মলাটে বাঁধা, শত ছিন্ন হলদে পাতায়,
প্রায় অস্পষ্ট সে লেখা ।
এক পাগল করা সময়ের,
এক পাগলাটে কবির ,
পাগল করা ভালোবাসার কথা।
রিক্ত এক যুবকের,
রক্তলাল কৃষ্ণচূড়া হাতে,
ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা।
কিছুই ছিল না তার,
তবুও কি দৃঢ়, পর্বত সম, অজেয়, একরোখা,
চোখে শিকল ভাঙ্গার ঔদ্ধত্যের  শঙ্কা হীন  নেশা ।
ব্রজ্রনিগাধ কণ্ঠের জড়তাহীন কি গভীর উচ্চারণ,
ভালোবাসি, ভালোবাসি


আকুল সে নিবেদন, হৃদয়ের স্ফুরণ,
কে করে কাকে অবহেলা,
কি করে বাজে বিরহের বাঁশি,
নরম জ্যোৎস্নার অবগাহনে দীর্ঘ রাত্রি,
প্রভাতের কুমারী কিরণ,
খালি পায়ে শিশিরের মৃদু ছোঁয়া।
প্রথম প্রেমের উতলা শিহরণ।
আজ সবই শুধু স্মৃতি,
ডাইরির পাতার ভাঁজে অবহেলায় পরে থাকা,
শুধু কয়টি কৃষ্ণচুড়ার পাপড়ি।  
প্রাণহীন, মূল্যহীন, অপ্রোজনীয়,
বিবর্ণ সে রং কিছুতেই লাল নয়,
জমে থাকা কষ্ট যেনো,
থমকে যাওয়া সময়ের সাথে ,
দুমড়ে, মুচড়ে, কুঁকড়ে,
জমাট বাঁধা রক্তের মতো শুকিয়ে আছে,
সাথে আছে কিছু স্মৃতি,
কিছু কথা আর কিছু অপূর্ণতা।
সেই কৃষ্ণচূড়ার তোড়া।
ঘোর লাগা সেই বিকেলে,সবকিছু ফিরিয়ে দেয়ার ,
সত্য কুহেলিকা ।
তাই, সেই কবিতাটি এখন আর পড়া হয় না,
সেই কবিতা,
যার শেষ ছত্রে লেখা,
"তুমিই ভালোবাসা"।
===================================