================================


অপেক্ষা আর প্রতীক্ষা, এখন দুটি শব্দ মাত্র
একান্তই বাহুল্য।
অপেক্ষা আগেই ছিল,
আর এখন, বিদগ্ধ কবির প্রিয় শব্দ প্রতীক্ষাও
সেই ব্যঞ্জনা হারিয়ে বড় সাদামাটা।
হয়তো অপ্রয়োজনীয়ও।
সবকিছুই যখন হাতের মুঠোয়,
সহজলভ্য, ইচ্ছেমতো
সেখানে প্রতীক্ষা দূরে থাক, অপেক্ষাই  সুদূরগত ।
তাই এখন আর কেউ কারো জন্য অপেক্ষা করে না,
আমিও তোমার জন্য অপেক্ষা করি না,
কিংবা অপেক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে না।
ইচ্ছে হলেই যখন তখন
কথা বলি, ছবি দেখি
জীবন্ত আড্ডায় মেতে উঠি,
চিঠির বদলে ই-মেইল লিখি,
প্রতীক্ষার অনন্ত সাধনার পরীক্ষা,
ভালোবাসাকে দিয়েছে মুক্তি, দিয়েছে স্বাধীনতা ।


কিন্তু, সেই প্রাণ যেনো নেই
নেই, প্রতীক্ষার আগুনে পোড়া  নিরেট ভালোবাসার ছোঁয়া
কিংবা অপেক্ষার সেই মধুরতম বিরহ যন্ত্রনা।
যান্ত্রিক ভালোবাসার সুরক্ষিত কারাগারে,
ভালোবাসার পঙক্তিমালা মুক্তির পথ খোঁজে,
মুক্তি হয় না।
আমি বুঝতে পারি এ ভালোবাসা আমার জন্য না।
তাই আমি একটি চিঠি লিখতে চাই,
রঙিন কাগজে সাজাতে চাই,
একটি একটি শব্দ,
একটি একটি অনুভূতি,
অক্ষরে অক্ষরে উপচে পড়া ভালোবাসা,
আমি পৌঁছে দিতে চাই ডাকঘরে।
তারপর অপেক্ষা করতে চাই,
অনন্ত অপেক্ষা
কিংবা কবির সেই প্রতীক্ষা।
==================================