=====================


এতগুলো বছর পর,
দেখা না হলে, কি অমন হতো
জীবন তো চলছিলোই, জীবনের মতো
পরিপাটি
সবকিছু কি আশ্চর্য রকমের গোছানো।
প্রতিদিনের সূর্য
উঠেছে নিয়ম করে
অস্ত গেছে আবার, ঠিকঠাক, সময় মতো
রাতের জোছনা,
রুপালি চাদর বিছাতে দেরি করেনি কখনো,
দেরি করলেই বা কি
জীবন তো আর  থেমে থাকেনি ।
অস্ফুট ভালোবাসার নীরব ক্রন্দনে সিক্ত
তাজা পাপড়ি,
ডাইরির পাতায় পেতেছে ধূসর সমাধি ।
স্মৃতির বিবর্ণ পাতা, সুদূর অতীত
সমাহিত, শৃঙ্খলিত, নিষ্কণ্টক, নির্দিষ্ট
সময়ের আবর্তে জীবন সায়াহ্ন,
রাতের আকাশে তারায় তারায়
ঠিকানা খোঁজার সময় বুঝি বয়ে এলো।


অপূর্ণ থাকেনি কিছু,
শূন্যের বিবরে থাকে যদি পূর্ণ জীবন।
আহারে জীবন !
স্বপ্নেরা  অতীত, সুখী বর্তমান, সুখী জীবন ।
কখনো  উঁকি দেয়নি সেই মুখ,
কখনো বাজেনি সে সুর
বৃষ্টি ভেজা কিন্নর কণ্ঠের
সুরেলা ভালোবাসা, সুমধুর
স্মৃতির পাতায় লুকিয়ে, সযতনে এড়িয়ে
হেঁটে গেছি বহুদূর।


আজ এতগুলো বছর পর,
হঠাৎ
ধমনীতে চঞ্চল রক্তের স্রোত
কম্পমান হাত, দুরু দুরু বুক
অপার্থিব সে অনুরণি,
অতি পুরাতন, অতি চেনা সে অনুভূতি
সেই মুখ, সেই গান
অতি গোপন, অতি আপন
এক অব্যক্ত পঙক্তিমালার কথোপকথন ।
এলোমেলো ভাবনায়
বৃষ্টির ফোটা, স্মৃতির ডানায়
যেন আবার বলি,
"একটা গান গাইবে তুমি "
সেই গান
বৃষ্টি ভেজা বিকেলে
অশ্রুবিন্দু হয়ে যে মিশে আছে বৃষ্টির সাথে ।


বলতে পারিনি,
এখনতো আর তুমি নও, সেই তুমি ।  
শুধু লুকোতে পারোনি চোখের কোনে
নীরব অশ্রুর নদী ।
তাই তো, এতদিন ছিল শুধুই স্মৃতি।
আর এখন,
ছুঁয়ে আছে অতৃপ্তি,
এক অস্ফুট ভালোবাসার রক্তকরবী।

=====================