========================
ভাবনারা ছিলো দুরন্ত,
উচ্ছল কিশোরীর চপলা নৃত্য যেনো,
হারিয়ে যেতো ইচ্ছেমতো,
যখন তখন, যেখানে যেমন
আনন্দ বিহঙ্গ, মুক্ত।
স্বপ্নরা ছিলো অবারিত,
আপনার  রঙে রাঙানো,
দিগন্তহীন অনন্ত নীল আকাশে,
উড়ে বেড়ানো,
বাঁধনহারা, পাগলপারা, অফুরন্ত।


কবির কলমে ভাবনা আর স্বপ্নগুলো,
কথা আর ছন্দে হয়ে উঠতো জীবন্ত,
পাহাড়ী ঝরনার মতো,
ছন্দ, অছন্দ, এলোমেলো
তবুও কি আশ্চর্য রকমের প্রাণবন্ত।  
হয়তো কবিতা নয়,
তবুও কি অপার আনন্দ, অফুরন্ত।


একটা সময় কবি ভাবলেন,
অনেক তো হলো , আর কতো
এবার অন্তত একটা কবিতা লিখা হোক,
গুনে, মানে, কাব্য রসে অনন্য।
ভাবতেই,
দুরন্ত ভাবনার পায়ে পড়লো
ইস্পাত কঠিন বেড়ি,
শুদ্ধতার বেদী মূলে ন্যুব্জ প্রণতি,
ছন্দ হলো নিয়মাবদ্ধ,
অক্ষর, মাত্রা আর স্বর বৃত্তে বন্দি
ছড়ালো অনন্য আলো।

অতঃপর লিখা হলো কবিতা,
শুদ্ধ, কষ্টি পাথরে উত্তীর্ণ
কাঠামোগত, পরিপাটি, পরিপূর্ণ  
একের পর এক, শৃঙ্খলাবদ্ধ
শুদ্ধতার মূর্ছনায় বিমুগ্ধ,
এক সারি স্পন্দনহীন হৃৎপিণ্ড যেনো।


আসলে, হয়তো
কবিতাই লিখা হলো শুধু,
অতৃপ্তির অনন্ত তৃষ্ণা থেকে গেলো,
জমে থাকলো,
প্রস্তরীভূত ফসিলের মতো,
দুরন্ত ভাবনার স্তরে স্তরে,
বাঁধনছেড়া, স্বাধীন, মুক্ত।


=========================