চব্বিশে ডিসেম্বরের শেষ লগন
গির্জায় গির্জায় বেজে চলেছে
ঢং ঢং ঢং ঘণ্টার ধ্বনি
ভেসে যাচ্ছে পিয়ানোর সুর ।
প্রার্থনা সঙ্গীত
মোমবাতির মিষ্টি আলোয় ভরপুর
শত সহস্র নক্ষত্রের মাঝে দৃশ্যমান
ক্রুশবিদ্ধ এক উজ্জ্বল নক্ষত্র দণ্ডায়মান ।
সেই তো যীশু, ইহুদী রাজা
সেই তো বেথলেহেমের তারা
সেই তো দেখিয়েছিল কিভাবে করে ক্ষমা
“এরা জানেনা এরা কি করছে, এদের ক্ষমা করে দিও”।
উজ্জ্বল আকাশে ছড়িয়ে পড়ে বাতাসের উচ্ছলতা
আজ বড়দিন, প্রভু যীশুর জন্মদিন
সবাই মাতে রঙিন পোশাকে
নতুন করে নতুন দিনে গান গেয়ে ।
খুশির রোশনাইয়ে ভাসে আবালবৃদ্ধবনিতা
ফুলের নির্যাস মাখা হাসিতে ভরপুর বিশ্ব
চকোলেট কেকের আদান-প্রদানে
বিন্দু বিন্দু করে শুরু হয় দিন বড় হবার পালা ।
চড়ুইভাতির আনন্দের প্লাবনে
আত্মহারা সাগরের ঝাউবন, নদীর পাড়
মাঠ ঘাট বা গৃহকোণ
ফোটায় হাসি আর্ত, দুখিজন ।
শিশুরা ভেসে চলে বেলুনের রথে চেপে
তাদের সাজানো বড়দিন-বৃক্ষে
সেখানে তারা গাইবে তাঁর জয়গান
আজ যে বড়দিন, প্রভু যীশুর জন্মদিন ।।



          ***