'বিজয়া' নামে আছে মুক্তির আনন্দ
সর্বজনে সর্বমনে আনে পরমানন্দ-দ্যুতি,
মৃন্ময়ী রূপের অন্তরালে চিন্ময়ীর প্রকাশ
উৎসবের আঙিনায় উৎসরিত হয় বিমুগ্ধ জ্যোতি ।


পুরাণের ইতিহাসে মহিষাসুর বধ
হয় নয় দিন নয় রাত যুদ্ধের পর,
শুক্লা দশমীতে হয় তার অবসান
বিজয় লাভই চিহ্নিত হয় বিজয়ায়  অতঃপর ।


ত্রেতা যুগে লঙ্কার রাজা রাবণ  
করেন শ্রীরামচন্দ্রের পত্নী সীতাদেবীকে অপহরণ,
শুক্লা দশমী তিথিতে রামের সাথে যুদ্ধে বধ হন রাবণ
রামের জয়লাভ চিহ্নিত হয় বিজয়া দশমীর দর্শন ।


মহাভারতের প্রচলিত কাহিনীতে বিশেষ এই তিথিতে,
বারো বছর বনবাস এক বছর অজ্ঞাতবাস শেষে,
আশ্বিন মাসের এই শুক্লা দশমীতে পঞ্চপান্ডবের প্রত্যাবর্তনে
শমী গাছের কোটরে পুনরুদ্ধার হয় তাঁদের অস্ত্র অবশেষে ।


বহু কাহিনী প্রচলিত বিজয়ার তরে
বাদ নাহি যায় কলিঙ্গ যুদ্ধে অশোকের জয়,
আনন্দ নন্দনে ঐতিহ্য সম্প্রীতি ঐক্যের বন্ধনে বিজয়া
সর্বোপরি 'বিজয়া' যে জয়ের সর্বজয় ।।