কবিগুরুর কলমে রচিত হয়েছে
কত গীতিনাট্য নৃত্যনাট্যের উপাখ্যান
তারই মধ্যে উল্লেখযোগ্য, অবিস্মরণীয় প্রথম পূর্ণাঙ্গ নৃত্যনাট্য
মহাভারতের আদি পর্বের অর্জুন-চিত্রাঙ্গদার প্রণয়োপখ্যান ।


শিশুকাল হতে পুরুষবেশে পারদর্শী
মনিপুর রাজকন্যা চিত্রাঙ্গদার ছিলনা কোন ভীতি
ধীরে ধীরে তিনি করলেন করায়ত্ব
ধনুর্বিদ্যা, যুদ্ধবিদ্যা, রাজদণ্ডের নীতি ।


দ্বাদশ-বর্ষ-ব্যাপী ব্রহ্মচর্যব্রত পালনরত অর্জুন
ভ্রমণরত হয়ে আসেন রাজ্য মণিপুর সনে
ঠিক সেই সময়ে পুরুষবেশী চিত্রাঙ্গদা
সখীসহ শিকারে গমণ করেন বনে ।


সেথায় যোদ্ধা অর্জুনেরে করে চাক্ষুষ
পুরুষবেশী রাজকুমারী আহ্বান জানান যুদ্ধে তারে
অর্জুন তারে প্রত্যাখ্যান করে করেন অবজ্ঞা
তবু চিত্রাঙ্গদা উদ্বেলিত হন অর্জুনের প্রেমে বারে বারে ।


মনের আকাঙ্খায় চঞ্চলমতি রাজকুমারী
ব্রতী হন মদনদেবের আরাধনায়
পরম লাবণ্যময়ী রূপবতী হয়ে ওঠেন
একবছর অতিক্রান্তের পর পরম সাধনায় ।


তার অনুপস্থিত কালে যখন রাজ্যে
দস্যুরা দেয় হানা
প্রজাবর্গ একসাথে রাজকুমারীর ধ্বনি দিয়ে
দস্যুদলের বিরুদ্ধে ছাড়ে হুঙ্কার-দানা ।


অর্জুন যখন জানলেন তাদের কাছ হতে
তিনি রাজকুমারী বাহুবলে রাজা স্নেহবলে মাতা
তিনি চিত্রাঙ্গদা দেবতার কৃপালাভে গোপন ব্রতচারিনী  
তখন ক্ষত্রিয় বাহুর শোভায় উদ্বেলিত অর্জুন ত্রাতা ।


আরাধ্য দেবতা মদন দেবের দয়ায়
পুনরায় ফেরেন লাবণ্যময়ী চিত্রাঙ্গদা
দেবতা বর ফিরিয়ে নিলে ধারণ করেন পূর্বরূপ
অর্জুন ধন্য হন চিত্রাঙ্গদাকে, পেয়ে প্রিয়ংবদা ।।