মেঘলা দুপুর
তোমাকে চাইনি  
চেয়েছিলেম, সোনা ঝরা রোদ্দুরের
জড়ি-বুটি মাখানো সোনালি চাদর ।
তাই তো বসেছিলেম
রঙিন কৃষ্ণচূড়ার তলায়
জড়িয়েছিলেম টকটকে লাল শাড়িতে
সারা শরীর ।
দেখেছিলেম একটু দূরে
পলাশের মুচকি হাসি
আর নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো
সাদা মেঘের নৌকা ।


হঠাৎ মেঘলা দুপুর
চুপি চুপি এসে জড়িয়ে ধরল আমায়
ধূসর কালো মেঘে ছেয়ে যাওয়া
আকাশ তলে ।
শুনিয়ে গেল কত কথা
কত সুখ, কত ব্যাথা
আর আঁধারে ঘেরা রূপের আড়ালে
কত উচ্ছ্বাস ।
এক ঝলক বিদ্যুতের রেখায়
কড় কড় বাজের আওয়াজ তুলে
এক মোহময় জাল ছড়াল
ঝমঝম শব্দে চমক ভাঙ্গালো ।
অঝোর ধারায় ঝরলো বৃষ্টিরেখারা
শুনিয়ে দিল কত গান
নিক্কনের তালে পা রেখে
কত রাগরাগিণীর সংমিশ্রণ ।
নেচে চললাম তার সাথে
একাত্ম হলাম সেই মধুক্ষণে
অস্ফুট শব্দে বললাম
মেঘলা দুপুর তোমায় বড় ভালবাসি ।।